নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:৪৩

কাঁদলেন শফিক-কামরান-আসাদ

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখলেন সিলেট আওয়ামী লীগের তিন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। তারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আলিয়া মাদরাসা মাঠে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী কেঁদে কেঁদে বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে অতীতে নিজের সংসদীয় আসন ছেড়ে দিয়েছি।

ভবিষ্যতেও নেত্রীর নির্দেশে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি এখনো বেঁচে আছি। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে হয়তো এটাই আমার শেষ বক্তব্য।

ভুলত্রুটি ক্ষমা চেয়ে কামরান কারাগারের স্মৃতিচারণ করে জীবনের শেষ নিঃস্বাস পযর্ন্ত দলের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের মধ্যে অশুভ শক্তি সব সময়ই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মহানগর সভাপতি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি আমার সহকর্মী ইব্রাহিমকে হারিয়েছি। ১৮ মাস জেল কেটেছি। কুমিল্লা কারাগারে থাকা অবস্থায় আমি আমার মাকে হারিয়েছি।

দায়িত্ব পালনের সকল সফলতা আপনাদের, সকল ব্যর্থতা আমি কাঁধে তুলে নিলাম বলেও যোগ করেন কামরান।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, শূন্য হাতে সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে আজ সবচেয়ে সংগঠিত মহানগর আওয়ামী লীগ।

ভবিষ্যতে আর দায়িত্ব পাবেন কি না জানেন না বলে আসাদ আবেগ তাড়িত হয়ে বলেন, আমৃত্যু তিনি দলের জন্য কাজ করে যাবেন।

এর আগে, বেলা ১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি। বাংলার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তারের স্মৃতির প্রতি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে বলেও যোগ করেন কাদের। ঐতিহ্যের সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেলে তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়বো।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত