নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৯:১৮

সিলেটে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি বাধার অভিযোগ

সিলেটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত সমাবেশ নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা বিএনপি নগরীর রেজিস্টারি মাঠে এ সমাবেশের ডাক দেয়।

জানা যায়, রোববার বিকেলে রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ শুরুর পর থেকেই পুলিশ জেলার নেতা-কর্মীদের বাঁধা দিতে থাকে। সেখানে পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার। পরে সেখানে পুলিশি বাধায় সমাবেশ পণ্ড হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে নতুন করে সমাবেশ করে। এসময় আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী বাকশালী সরকার পরিকল্পিতভাবে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েশি রায়ে কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও সরকার পাত্তা দিচ্ছেনা। নেত্রীকে নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মনোভাব দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। তাই নেত্রীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবীতে ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠের সমাবেশে পুলিশি বাধা প্রমাণ করে সরকার দেশে বিরোধী মতের রাজনীতি ধ্বংস করে দিতে চায়। প্রতিদিন রাজপথে বিভিন্ন দলের সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। এর পরিণতি ভাল হবেনা। গণতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবেই। আর কোন ষড়যন্ত্র না করে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ফরমায়েশি সাজা সমূহ বাতিল ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সমূহ প্রত্যাহার করুন।’

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও  সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল গাফফার, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আলী আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামীম আহমদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, জেলা বিএনপি নেতা হাজী শাহাবুদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, আব্দুল মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, আব্দুল লতিফ খান, আমিন উদ্দিন আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাহ মাহমুদ আলী, এনামুল হক মাক্কু, জেলা শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক এলাহী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, দিলোয়ার হোসেন জয়, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, আজির উদ্দিন, শফিকুর রহমান টুটুল, ফারুক আহমদ, মনিরুল হক তুরণ, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কুহিনুর আহমদ, কামরুজ্জামান দীপু, সাঈদ আহমদ, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, ফরিদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহিলা দল নেত্রী মনিজা বেগম, ফাহিমা আক্তার কুমকুম, ফারজানা বক্ত রায়না, যুবদল নেতা ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, আলী আহমদ আলম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, এখলাছুর রহমান মুন্না, আলী আব্বাস, মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমদ চৌধুরী, সুহেল ইবনে রাজা, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা ও তাজুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত