বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৬:৫৫

আজ বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস

আজ ১০ ডিসেম্বর, সিলেটের বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগরের দয়ামীর, কুরুয়া, নাজিরবাজার ও রশিদপুর শত্রুমুক্ত হয়। কিন্তু ওই এলাকাগুলো শত্রুমুক্ত হলেও বিশ্বনাথের তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন ও দারোগা আলী আহমদ স্থানীয় রাজাকারদের নিয়ে বিশ্বনাথে স্বাধীনতার পথাকা উত্তোলনে বাঁধা দেন। এ সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুন-নূরের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরে পৌঁছে পুলিশ ও রাজাকারদের সঙ্গে বাক-যুদ্ধে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে রাজাকাররা পালিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে থানা পুলিশ আত্মসমর্পন করে।

এতে অধিক রাত হওয়ায় পরদিন ১০ ডিসেম্বর কমান্ডার আব্দুন-নূরের নেতৃতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্বনাথের আকাশে মাহান বিজয়ের পথাকা উত্তোলন করা হয়। ওইদিন হাজারো জনতা পায়ে হেঁটে থানা সদরে পৌঁছে আনন্দ-উল্লাস করেন।

১১ডিসেম্বর রামসুন্দর হাইস্কুল মাঠে আব্দুল হক চৌধুরী ওরফে সমুজ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয় বিজয় সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দু-নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ৫নং সেক্টর কমান্ডার ল্যান্স নায়েক মো: গোলাম মোস্তফা। এসময় বক্তব্য রাখেন দেওয়ান শমসের রাজা চৌধুরী, থানা প্রশাসক আব্দুল মতলিব, কয়েছ চৌধুরী, আকমল আলীসহ অনেক।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহনকারী বিশ্বনাথের ১৩২ জনের মধ্যে সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা ১২৬জন। এর মধ্যে ৫ জন শহীদ, একজন বীরবিক্রম এবং একজন বীরপ্রতিক রয়েছেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, শহীদ সুলেমান হোসেন, শহীদ আব্দুল আহাদ, শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাস, শহীদ শামছুল হক ও শহীদ নরমুজ আলী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত