নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:৫০

তামাবিল সীমান্ত স্বাভাবিক, তবে শিলং যেতে বাধা

সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশ শুক্রবার বন্ধ থাকলেও শনিবার থেকে যাত্রীরা যাওয়া-আসা করতে পারছেন। শনিবার দুপুর ১টার পর থেকে বাংলাদেশিরা ভারতে যেতে পারছেন। তবে এই সীমান্ত দিয়ে চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দিলেও মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে যেতে বাংলাদেশি পর্যটকদের বাধা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার  বেলা ১টা থেকে বাংলাদেশি নাগরিকরা তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ডাউকি হয়ে ভারতে প্রবেশ শুরু করেন। তবে অন্যান্যদিনের তুলনায় শনিবার যাত্রীসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম ছিলো বলে জানিয়েছেন অভিভাবস পুলিশের সদস্যরা।

এদিকে, কারফিউ’র কারণে শিলংয়ে আটকা পড়া অনেক পর্যটকও শনিবার দেশে ফিরে আসেন। শুক্রবার দিনভর শুকনো খাবার খেয়ে হোটেলে অনেকটা বন্দি অবস্থায় তাদের থাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশে ফেরা পর্যটকরা।

তামাবিল অভিবাসন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রমজান মিয়া বলেন, দুপুর ১টা থেকে যাত্রীরা শর্তশাপেক্ষে ভারত যেতে পারছেন। ভারতীয় অভিবাসন কর্মকর্তারাও যাত্রী প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন না। তবে কারফিউর কারণে শিলং শহরে যেতে পারছেন না কেউ।

তিনি জানান, শনিবার সারাদিনে ত্রিশ জনের মতো যাত্রী ভারতে যান।

শনিবার তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়া পর্যটক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও কারফিউর কারণে শিলং যেতে মানা করা হয়েছে। চেরাপুঞ্জি, স্নংপেডংসহ সীমান্তের আশপাশের এলাকাগুলোতে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশিদের সে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই বাধায় বিপাকে পড়েন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। আগে থেকে না জানায় শুক্রবার সকাল থেকে অনেক পর্যটক তামাবিলে জড়ো হন। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন আটকে দেয়। ফলে ভারতের ডাউকি থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ডাউকি হয়ে সাধারণত ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বেরাতে যান বাংলাদেশিরা। বৃহস্পতিবার থেকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংসহ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করায় যাত্রীদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।

তবে যাত্রী যাতায়াত একদিন বন্ধ থাকলেও এই স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পার্থ ঘোষ। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মূলত পাথর ও কয়লা আমদানি হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, ভারতে নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পর থেকে আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলছে। এর প্রেক্ষিতে এসব রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত