নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৫২

ষাঁড়ের এক গুতোয় কোমর ভাঙলো পুরো পরিবারের!

১ ডিসেম্বর প্রতিদিনের মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়েছিলেন চালক বাবুল আহমদ (৪৫)। দুপুরে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায়ই ঘটলো দুর্ঘটনা। আচমকা এক পাগলাটে ষাঁড় ছুটে এসে গুঁতো দেয় বাবুলের কোমরের নিচ অংশে। সাথেসাথেই চিৎপটাং বাবুল।

ষাঁড়ের গুঁতোয় কোমর ভেঙে টানা ১৪দিন ধরে হাসপাতালে বাবুল। তার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে পুরো পরিবারেরই এখন কোমর ভেঙে যাওয়ার যোগাড়। একমাত্র উপার্জনশীল লোকটি হাসপাতালে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে বাবুলের পরিবার।

জানা যায়, হত ১ ডিসেম্বর দুপুরে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসে একটি পাগলাটে ষাঁড়। বিজিবি ক্যাম্প থেকে আম্বরখানা দিকে আসতে আসতে পথেপথে লোকজনকে গুঁতো দিয়ে আসে এই ষাঁড়। এতে আহত হন অন্তত ১০জন। ওইদিন ষাঁড়ের তাণ্ডবে ১টি প্রাইভেট কার ও ১টি অটোরিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও বিজিবি মিলে নগরীর ফাজিলচিস্ত এলাকায় এসে ষাঁড়টিকে আটক করে।



বেলা আড়াইটার দিকে আম্বরখানা বরকতিয়া মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন বাবুল আহমদ। আচমকা ষাঁড়টি এসে গুতো দেয় তাকে। সিলেট সদর উপজেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা বাবুল চার সন্তানের জনক। চার সন্তানের লেখাপড়াসহ পরিবারের খরচ পুরোটাই তিনি নির্বাহ করেন অটোরিকশা চালিয়ে। কিন্তু ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে থাকায় বিপাকে পড়েছে বাবুলের পরিবার। তারওপর আছে বাবুলের চিকিৎসা ব্যয়।

নগরীর রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুল আহমদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ষাঁড়ের গুতোর পরপরই তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুঁতোয় কোমর ভেঙে গেছে তার। কোমরে অস্ত্রোপচার করে রড লাগানো হয়েছে। সবমিলিয়ে খরচ পড়েছে প্রায় লাখখানেক টাকা। ঋণ করে এই টাকা সংগ্রহ করেছেন বাবুলের স্বজনরা।

হাসপাতালের বিছানায় থাকা বাবুল আহমদ বলেন, ষাঁড়ের এক গুতোয় কেবল আমার নয়, আমার পুরো পরিবারেরই কোমর ভেঙে গেছে। এখন পরিবারের খরচই চলছে না। অর্থাভাবে আমার চিকিৎসাও এখন বন্ধ করে দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত