সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৯:৪৬

ডাকাতি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারায় আরামবাগবাসী

প্রতিকী ছবি

ডাকাত প্রতিরোধে এবার মাঠে নেমেছেন সিলেট শহরতলীর আরামবাগবাসী। গত কয়েক দিনে হাফপ্যান্ট বাহিনীর একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এবার এলাকার লোকজন রাত জেগে পাহারায় নেমেছেন।

প্রতিদিন আরামবাগ এলাকায় পাহারা দেবেন ২০ জন করে। প্রতিটি বাসার পক্ষ থেকে একজন করে লোক এই পাহারায় অংশ নেবেন। তাদের হাতে থাকছে লাঠিসোটাও।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের বালুচরে সম্প্রতি সময়ে ডাকাতির ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। একদল সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ইতিমধ্যে বালুচর ও আরামবাগ এলাকায় ৮টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে আরামবাগ এলাকায় ঘটেছে ৩টি ডাকাতির ঘটনা। এ কারনে ডাকাত আতংকে ঘুম হারাম হয়ে গেছে এলাকাবাসীর। জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েক দিন ধরে নির্ঘূম রাত কাটাচ্ছেন তারা।

এই অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে আরামবাগ সমাজ কল্যান সংঘের উদ্যোগে পাড়ার ২ নং রোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়। ওই বৈঠকে পাড়ার সবকটি রোডের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আরামবাগ সহ বালুচরে ঘন ঘন ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বক্তারা বলেন, পুলিশ সক্রিয় থাকার পরও ডাকাতির ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। এ কারনে আরামবাগ এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতি রাতে ২০ জন করে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে ডাকাত প্রতিরোধে পাহারা দেওয়ার সিদ্বান্ত হয়। সিদ্বান্তের আলোকে গত শুক্রবার রাত থেকে পাহারা দেওয়া শুরু হয়েছে।

আরামবাগ সমাজ কল্যান সংঘের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম দুলালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়ার পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, এলাকার বাসিন্দা জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, সিলেটের সভাপতি এজাজুল হক, আরামবাগ মসজিদের মোতাওয়ল্লি শফিউদ্দিন আহমদ, হাজী আব্দুল ওয়াহিদ, মনির উদ্দিন, আলী আহমদ, আব্দুস সামাদ, চৌধুরী আমান মিয়া, গোলাম মাওলা, এডভোকেট হোসেন আহমদ, এডভোকেট সেলিম আহমদ, সাংবাদিক সৈয়দ বুরহান আলী, শাহীন আহমদ, মইনউদ্দিন সেলিম, তৌহিদ লতিফ সাকের, সানাওর হোসেন, হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, ইউনূস আলী, ইউপি সদস্য সুহিন আহমদ, সমশের আলী, রফিক মিয়া, বাবলু মিয়া প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত