নিজস্ব প্রতিবেদক:

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৩:৩৬

রাজন হত্যার বিচার শুরু, ফেরানো গেলো না কামরুলকে

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। আজ সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

গঠিত অভিযােগে পুলিশের দেয়া চার্জিশীটভূক্ত ১৩ জনকেই আসামী করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ জন পলাতক রয়েছেন।

হত্যার ২ মাস ১২ দিনের মাথায় বিচার কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে। রাজন হত্যার পরপরই যে সৌদি আরব পালিয়ে যায়। 'দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে', 'শীঘ্রই আসছে'- সরকারের উচ্চমহল থেকে বারবার এমন আশ্বাস বাণী শুনিয়ে আসলেও এখনো ফেরানো যায়নি সৌদিতে আটক কামরুলকে।

আজ কামরুল ইসলাম, তার ভাই তার ভাই শামীম আহমদ এবং পাভেলকে পলাতক আসামী দেখিয়েই বিচার কাজ শুরু হলো। দেশে থাকা পলাতকদের গ্রেফতারেও পুলিশের তৎপরতা থেমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনের পিতা আজিজুর রহমান।

পলাতক তিন জন ছাড়া মুহিত আলম, আলী হায়দার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ময়না, আয়াজ আলী, বাদল, ফিরোজ ও আছমত আলীকে আসামী করে আজ অভিযােগ গঠন করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফুর আলী জানান, মামলার পরবর্তী ৯টি তারিখে লাগাতার স্বাক্ষ্য গ্রহনের আদেশ দেন বিচারক। ১, ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ অক্টেবর যথাক্রমে এই মামলার ৩৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান, আসামী শামিম, মুহিত, ময়না ও তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার পর শিশু রাজনের লাশ গুম করার চেষ্টার অপরাধে পৃথক ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মহনাগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

রাজন হত্যার পর থেকেই আইন মন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এই মামলা নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়ে আসছেন।

গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

গ্রেফতার থাকা মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবুলসের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চার্জশীট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

আদালত ২৪ আগস্ট আদালত চার্জশিট আমলে নেন।

আদালতের নির্দেশে ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ।

গত ৩১ আগস্ট ৎপলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা রাজনকে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দয়। সে ভিডিও দেখে সারা দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত