সিলেট টুডে রিপোর্ট

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৩:০৬

দেশের র্শীষ সাত পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের ফলাফল প্রকাশ

দেশের র্শীষ সাতটি পর্বত চূঁড়ায় অনুসন্ধান ও উচ্চতা পরিমাপের ফলাফল প্রকাশ করেছে ভ্রমন বিষয়ক সংগঠন "ভ্রমন বাংলাদেশ" ও "এডভেঞ্চারবিডি"।

দেশের র্শীষ সাতটি পর্বত চূঁড়ায় অনুসন্ধান ও উচ্চতা পরিমাপের ফলাফল প্রকাশ করেছে ভ্রমন বিষয়ক সংগঠন "ভ্রমন বাংলাদেশ" ও "এডভেঞ্চারবিডি"। এতে দেখা গেছে দেশের শীর্ষ পর্বত চূড়া হচ্ছে সাকাহাফং। এরপরই রয়েছে জ-তলং , পর্যায়ক্রমে রয়েছে দুবলং , কেওক্রাডং, কংদুক, , মাই-থাইজমা, ও লুকু তলাং ।
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অভিযাত্রী ট্রেকার- পর্বতারোহীরা দেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃংগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। প্রায় শত শত ট্রেকারের অনুসন্ধানী কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সময় দেশের সর্বোচ্চ চুঁড়াগুলোর সন্ধান মিলেছে । দেশের জাতীয় দৈনিকসহ অন্যান্য গনমাধ্যমেও এগুলোর বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ বিষয়ের যাবতীয় উদ্দ্যোগ-ই ছিল ব্যক্তি পর্যায়ের কিংবা বিচ্ছিন্ন অথবা কোন একক সংগঠনরে পক্ষ থেকে । যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে র্শীষ পর্বত শৃংগগুলোর সুস্পষ্ট অবস্হান ও উচ্চতা জানা ও তা প্রকাশ করা ছিল সংশ্লিষ্ট সকলেরই ঐকান্তিক কামনা । সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই এ বিষয়ে দেশের অভিজ্ঞ একটি সংগঠন “ভ্রমণ বাংলাদেশ” এবং অনলাইন ফোরাম “এডভেঞ্চারবিডি” একটি সমন্বিত উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে।
দেশের শীর্য সাতটি পর্বত চূঁড়ায় অনুসন্ধান ও উচ্চতা পরিমাপ কার্যক্রমের আওতায় কয়েকটি অভিযান চালানো হয় । আর শীর্ষ চূঁড়াগুলো নির্ধারিত হয় নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি ও উপকরণ গুলোর সমন্বয়ে :
১ । US 1:250K Topographic Map (United States Topographic Maps)
২। Russian 1:200K Topographic Map
৩। SRTM data (Shuttle Radar Topography Mission : NASA)
৪। ASTER (Advanced Space Borne Thermal Emission and Reflection Radiometer)
৫। Google Earth
৬। Data recorded by trekkers using handheld GPS receiver.
উচ্চতা পরিমাপ ও জরিপের উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত অনুসন্ধান কার্যক্রমের ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হল:
ক্রম পর্বত চূঁড়ার নাম উচ্চতা পরিমাপের তারিখ
1. মদক তং বা সাকাহাফং ১০৫০ মিটার / ৩৪৪৫ ফুট ১২-১২-২০১৪
2. জ-ত্লং ১০১৪. মিটার / ৩৩২৮ ফুট ১৩/০৪/২০১৪
3. দুমলং ১০১০ মিটার / ৩৩১৫ ফুট ০৭/১১/২০১৭
4. কেওক্রাডং ৯৮৫ মিটার / ৩২৩০ফুট ০২-০১-২০১৫
5. কংদুক বা যোগীহাফং ৯৮৩ মিটার / ৩২২২ ফুট ০৬/০১/২০১৫
6. মাই-থাইজমা ৯৬৯ মিটার / ৩১৭৯ ফুট ০৬-০১-২০১৫
7. লুকু ত্লাং বা থিন্দলতে ৯৫৭ মিটার /৩১৩৯ ফুট ০৯-০৬-২০১৪
“ভ্রমণ বাংলাদেশ” এর সদস্যরা ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে দেশের সুউচ্চ পর্বত শৃংগ, প্রত্যন্ত এলাকার নতুন নতুন ট্রেইল, ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর আবাস-আবাসন, জীবনধারা ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছরই “ভ্রমণ বাংলাদেশ” এর বেশ কিছু অভিযান-অভিযাত্রা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের চরম উন্নতির যুগে দেশের সর্বোচ্চ চূঁড়া নিয়ে তথ্য বিভ্রাট স্পষ্ট হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট বোদ্ধা মহলে অনেক আগে থেকেই। তাই এ বিষয়ে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা - হয়ে ওঠে সময়ের অনিবার্য দাবী। সময়ের সে দাবী পূরণ করার লক্ষ্যেই এই পর্বত শৃংগ পরিমাপ ও জরিপের কাজটি পরিচালিত হয় গত একবছর ধরে । প্রায় সাত -আটটি অভিযানে “ভ্রমণ বাংলাদেশ” ও “এডভেঞ্চাচারবিডি-র প্রতিনিধি দল বা অনুসন্ধান কর্মীরা এই কাজটি চালিয়া যায় যথেষ্ঠ প্রতিকূলতা ও বিপদ সংকুল অবস্থা সামনে রেখে, সামলে নিয়ে। অনুসন্ধান কর্মীদের মাঝে অভিযাত্রী রাতুলবিডি ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিটি চূঁড়ায় উপস্থিত থেকে জিপিএস রিডিং নেন ও এর ছবি সংগ্রহ করেন।
এই অভিযান গুলোতে পরিমাপের জন্য জারমিন ইট্র্যাক্স-৩০, ইট্র্যাক্স সামিট, ইট্র্যাক্স ৭৬সিএসএক্স ব্যবহৃত হয় । যে গুলোর প্রতিটিতেই পৃথক ব্যারম্যাট্রিক অল্টামিটার (বায়ুর চাপ নিভর উচ্চতা মাপক যন্ত্র) থাকাতে অনেক নিভূল পাঠ দেয়। দেশের জিপিএস বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম জিপিএস ম্যাপ-ট্রেইল ও অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয় মনিটর করেন ও যাবতীয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রণয়ণ করেন ।

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত