সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ জুন, ২০১৬ ১৭:১০

ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা মিলবে ১ বছরের জন্য

ভারত ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা এখন এক বছরের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা পাচ্ছেন। ভারতীয় হাইকমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা আজ রোববার এ তথ্য জানান।

আগে এই ক্যাটাগরিতে সাধারণত ছয় মাস বা আরও কম সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হতো।

ভারতীয় হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত ভিসা ক্যাম্পে আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁরা ভিসা পেয়েছেন, তাঁদের এক বছরের জন্য ভ্রমণ ভিসা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এক বছর মেয়াদের ভ্রমণ ভিসা চালু রাখছে হাইকমিশন।

তিনি জানান, ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ এক বছর করার কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমবে। ভিসার জন্য হাইকমিশনের ওপর চাপও খানিকটা লাঘব হবে। আগে যদি কেউ বছরের শুরুতে ও মাঝে ভারতে ভ্রমণ করতেন, তাকে দুবার ভিসার জন্য হাইকমিশনে আসতে হতো। এখন সেটা কমে একবার হবে। এতে ভিসাপ্রত্যাশীদের চাপ অনেকটা কমে আসবে।

ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের জন্য প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি ভিসা দেয় ভারত। কিন্তু চাহিদা থাকে আরও অনেক বেশি। এ সুযোগে ভারতের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ই-টোকেন বাণিজ্য করে। ভোগান্তিতে পড়েন ভিসাপ্রত্যাশীরা। ভোগান্তি লাঘবের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশন ৪-১৬ জুন ঢাকায় ট্যুরিস্ট ভিসা ক্যাম্প চালায়। এই ক্যাম্প চলাকালে ভিসাপ্রত্যাশীরা কোনো ধরনের ই-টোকেন ছাড়াই ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পেরেছেন। এখানেও আবেদনকারীদের এক বছরের ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদনকারীরা সাক্ষাতের জন্য যে সাংকেতিক নম্বর পান, সেটিকে ই-টোকেন বলা হয়। অনলাইন আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ই-টোকেন পাওয়া কঠিন হয়ে যায় বলে আবেদনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। ভারতীয় হাইকমিশনেও ই-টোকেন সমস্যার বিষয়ে হাজারো অভিযোগ জমা পড়ে।

ভারতীয় হাইকমিশন ই-টোকেন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত দালালদের তালিকাসহ একটি চিঠি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে অনুরোধ করেছে, যারা ই-টোকেন বাণিজ্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত