সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:১০

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি উন্নত জীবনমান, সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক সুবিধার কারনে অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাই বৈধ অভিবাসী যাওয়ার হার বাড়ছে ওশেনিয়ার দ্বীপ-মহাদেশ অস্ট্রেলিয়া আর  দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে।

বাংলাদেশিদের জন্যও দেশ দু’টিতে তৈরি হয়েছে স্থায়ী বসবাস ও নিশ্চিত নাগরিকত্ব লাভের  অবারিত সুযোগ। আর অভিবাসনের এই সুযোগ দিতে বেশ কিছু নতুন প্রোগ্রাম চালু করেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

গত ১০ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (ডিআইবিপি) প্রকাশিত নতুন স্কিলের (২০১৬-১৭) কর্মক্ষেত্রের তালিকা।

দেশটিতে সহজ অভিবাসনের নিয়ম-কানুন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু। দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের নাগরিকদের সপরিবারে স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্ব লাভের কার্যকর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, নতুন প্রোগ্রামের স্কিলড মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় সপরিবারে নিরাপদ জীবনযাপনের সুযোগ রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, একাউন্টিং ও ফিন্যান্স, মার্কেটিং বা সেলস, ব্যাংকার, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃষিজীবী, নার্স বা অন্য কোন পেশায় দক্ষ পেশাজীবীদের জন্যে রয়েছে বিশেষ সুযোগ।

স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে রয়েছে স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসা, বিজনেস স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসা, এমপ্লোয়ার স্পনসরড ওয়ার্ক ভিসা, পার্টনার অ্যান্ড আদার ফ্যামিলি মাইগ্রেশন ভিসা।

এই তালিকায় স্থানপ্রাপ্তরা তিন ক্যটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ১৮৯ (স্কিলড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা), ৪৮৯ (স্কিলড রিজিওনাল প্রভিশনাল ভিসা এবং ৪৮৫ (গ্র্যাজুয়েট টেম্পরারি ভিসা)।

ড. শেখ সালাহউদ্দিন জানান, এছাড়াও কনসোলিডেটেড স্পন্সরড অকুপেশন লিস্ট (সিএসওএল) প্রকাশ করেছে ডিআইবিপি। যাতে ১৯০ (স্কিলড নমিনেটেড ভিসা), ৪৫৭ (টেম্পরারি ওয়ার্ক স্কিলড ভিসা) এবং ১৮৬ (এমপ্লয়ার নমিনেটেড স্কিম) এর এগুলোর মাধ্যামেও অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়ার আবেদন করা যায়।

এছাড়াও রয়েছে- বিজনেস মাইগ্রেশন, স্কিলড মাইগ্রেশন, স্পাউজ মাইগ্রেশন বা প্যারেন্ট মাইগ্রেশন, অস্ট্রেলিয়া গ্র্যাজুয়েট, স্কিলড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা (সাবক্লস ১৮৯), স্কিলড নমিনেটেড ভিসা (সাবক্লস ১৯০), স্কিলড নমিনেটেড (প্রভিশনাল) ভিসা (সাবক্লস ৪৮৯), স্কিলড রিজিওনাল ভিসা (সাবক্লস ৮৮৭), ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ভিসা: ফ্যামিলি স্পন্সরড (প্রভিশনাল) ভিসা (সাবক্লস ৪৮৯)।

প্রায় ৪০০ এর মতো পেশা অর্ন্তভুক্ত রয়েছে এই প্রোগ্রামে। এর মধ্যে সাবক্লস ১৮৯, ১৯০ এবং ৪৮৯ এ আবেদন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। জবসহ স্পন্সর প্রোগ্রামে আবেদন করা যাচ্ছে সাবক্লস ৪৫৭, ১৮৬ এবং ১৮৭ তে। আর সাবক্লস ৪৫৭ ও ১৮৬ যৌথভাবে আবেদন করে দ্রুতই স্থায়ী নাগরিকত্ব গ্রহণ সম্ভব।

আবেদন করার প্রাথমিক যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট (অনার্স এবং মাস্টার্স) ও পিএইচডি। তবে ইংরেজি দক্ষতার আওতায় কোর্স আইএলটিএস এ কমপক্ষে ৬ দশমিক ৫ স্কোর উঠাতে হবে।

সারাবিশ্বের চিকিৎসকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চিকিৎসকরা মুলত অস্ট্রেলিয়ায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হতে পারেন ৩টি উপায়েঃ ১। ক্লিনিক্যাল ২। নন-ক্লিনিক্যাল ৩। স্কিল মাইগ্রেশন। ক্লিনিক্যাল ও নন-ক্লিনিক্যাল বাদ দিয়ে সরাসরি আপনি স্কিল মাইগ্রেশনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন না। পাবলিক হেলথ ফিল্ডে কাজ করে থাকলে আপনি পাবলিক হেলথ ওয়ার্কার হিসেবে মাইগ্রেশন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার এক্সপেরিয়েন্স দেখাতে হবে ৩ থেকে ৫ বছর এবং সময় লাগবে প্রায় ২ বছর। তবে অবশ্যই ৭ আইইএলটিএস স্কোর লাগবে।

নিউজিল্যান্ড স্কিলড ইমিগ্রেশন ক্যাটাগরিতে প্রতি মাসে ২টি ড্র অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু। বছরে প্রায় ১১ হাজার পরিবার এই পোগ্রামের আওতায় নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী নাগরিকত্ব (পিআর) পেয়ে থাকে।

এই প্রোগ্রামের আওতায় দেশটিতে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের শর্তগুলো হলো- পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর আবেদনকারীর অবশ্যই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর অবশ্যই বিশেষ লং টার্ম স্কিলস শর্টেজ লিস্ট (এলটিএসএসএল) এর যে কোন একটি পেশায় কমপক্ষে ৩ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর এক্ষেত্রেও আইইএলটিএস স্কোর হতে হবে কমপক্ষে ৬ দশমিক ৫।

নিউজিল্যান্ডে সম্ভাব্য পেশার মধ্যে রয়েছে- ফরেস্ট সায়েন্টিস্ট, কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট ম্যনেজার, কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট বিল্ডার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, জেনারেল প্র্যাকটিশনার, প্যাথলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সোনোগ্রাফারসহ আরো কিছু খাত।

এই দেশ দুটিতে মাইগ্রেশন সম্ভাবনা আপনার কতুটুকু তা জানতে  পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিতে পারেন এই ই-মেইলে [email protected] , [email protected] অথবা যোগাযোগ করতে পারেন Whats App/Viber  বা সরাসরি +60168123154 এবং +60143300639 এই নাম্বারে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। প্রয়োজনে সরাসরি ঢাকার উত্তরায় ৭ নং সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁ জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন।প্রাথমিক তথ্যের জন্য ফোনে কথা বলতে পারেন 01966041555, 01993843339, 01993843340 ও 01977014778 নাম্বারে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত