নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:০১

ঈদের ছুটিতে ঘুরতে পারেন সিলেটে

ঈদ মানে আনন্দ আর খুশি। আর এই আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে ভ্রমণ। ঈদের ছুটিতে স্বপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার মজাই অন্যরকম। আর তার ওপর থাকে যদি থাকে লম্বা ছুটি তাহলেতো কথাই নেই। তাই এ বছর ঈদুল আজহায় টানা ৫ দিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসতে পারেন প্রকৃতির অনন্য দান সিলেটে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই সিলেট। এখানে বেড়ানোর জায়গার যেন শেষ নেই। উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা সিলেটে পাহাড়ের ঢেউ খেলানো চা-বাগান নিমিষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। দেখার মতো অনেক স্থাপনাও রয়েছে নগরীর ভিতরে। তাছাড়াও সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জেও রয়েছে নানান দর্শনীয় স্থান ও পর্যটক কেন্দ্র।

তাই সিলেটটুডের পাঠকদের জন্য সিলেট বিভাগের অন্যতম নৈসর্গিক সৌন্দর্যের স্থান গুলো নিয়ে এবারের আয়োজন।

যাতায়াত:
ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩টি ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে। সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। ট্রেনে গেলে রাত ৯.৫০ এর উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াটাই সব চেয়ে ভালো। দুপুরে আছে জয়ন্তিকা আর বিকেলে কালনী এক্সপ্রেস। আর ভোরে রওনা দিতে চাইলে আছে পারাবত এক্সপ্রেস। ট্রেন ভাড়া ২৬৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০৯৯ টাকার মধ্যে। এছাড়া যাওয়া যাবে বাসেও। ঢাকা-সিলেট রুটে আছে অনেক বাস। এর মধ্যে গ্রিনলাইন, শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এনা উল্লেখযোগ্য। ভোর থেকে শুরু করে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত এসব বাস পাবেন। বাসে যেতে সময় লাগবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। বাস ভাড়া ননএসি ৪৭৫ টাকা, এসি ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে ডাবল ডেকার বাস সার্ভিস চালু করেছে গ্রিনলাইন পরিবহন। সর্বমোট ৪৩ সিটের এই বাসে বিজনেস ক্লাসের ভাড়া পরবে জনপ্রতি ১২শ টাকা।

থাকবেন কোথায়:
সিলেটে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল, মোটেল, কটেজ। পর্যটকরা তাদের পছন্দের যেকোনো জায়গায় অবস্থান করতে পারেন। অভিজাত হোটেল রোজভিউ ছাড়াও রয়েছে হোটেল স্টার প্যাসিফিক, নির্ভানা ইন, লা রোজ হোটেল, ব্রিটানিয়া হোটেল, হোটেল নুরজাহান গার্ডেন, লা ভিস্তা, হোটেল হলি গেইট, পানসী ইন, রেস্ট ইন হোটেল, হোটেল স্কাই পার্ক, রিচমন্ড হোটেল এন্ড এপার্টমেন্ট, হোটেল গোল্ডেন সিটি, হোটেল ডালাস, ফরচুন গার্ডেন, হোটেল অনুরাগ, হোটেল সুপ্রিম, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল গার্ডেন ইন।

এছাড়া সিলেটে আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প খরচের মধ্যে ভালো হোটেল পাবেন। এদের মধ্যে কয়েকটি হোটেল হলো- হোটেল হিল টাউন, হোটেল গুলশান, হোটেল পলাশ, হোটেল আল ছালিম, সুরমা, কায়কোবাদ ইত্যাদি।

প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চাইলে বুকিং নিতে পারেন নাজিমগড় রিসোর্ট, শুকতারা, জৈন্তা হিল রিসোর্ট, ডোসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা, অল সিজন লজ, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট, প্যারাডাইস লজ শ্রীমঙ্গল, গ্রিন প্যালেস ট্রি রিসোর্ট, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট সহ বিভিন্ন রিসোর্টে। পর্যটন মোটেলেও রয়েছে থাকার ব্যবস্থা।

বিছনাকান্দি:
সুউচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিঁড়ে নেমে এসেছ বিশাল ঝর্ণা। সারি সারি পাথরের উপর এসে পড়ছে ঝর্ণার জল। বিছনাকান্দি যেনো পাথরের বিছানা। ঝর্ণার জলে এই বিছানায় শুয়ে বসে কাটিয়ে দেয়া যায় একটা দিন।

বিছনাকান্দি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সিলেট নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট যেতে হবে। সেখানে বিমান বন্দর রোডের দিকে সিএনজি অটোরিক্সা পাবেন। সিএনজি অটোরিক্সায় করে হাদার পার নামক জায়গা পর্যন্ত যাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা। ১২ থেকে ১৪ জনের দল হলে যেতে পারেন লেগুনা রিজার্ভ করেও। ভাড়া পড়বে ২৩০০-২৫০০ টাকা। সিলেট শহর থেকে যেতে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো। হাদারপার বাজারে নেমে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই পেয়ে যাবেন খেয়া ঘাট। সেখান থেকে নৌকায় বিছনাকান্দি পৌঁছে যাবেন ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে। ট্যুরিস্ট দেখে মাঝিরা হয়ত ২০০০/২৫০০ টাকা চেয়ে বসতে পারে। ভুলেও রাজি হবেন না। ভাবখানা এমন রাখতে হবে যে, আমরা হেঁটেই যেতে পারব (উল্লেখ্য, নদীর পাড় ধরে হেঁটেও যাওয়া যায়)। নৌকা ভাড়া আসা-যাওয়া নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা দিতে পারেন।

রাতারগুল:
জলের মধ্যে ভেসে উঠেছে অরণ্য। তাই এটি জলারণ্য। নাম রাতারগুল। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন যা ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। নিচে পানি উপরে গাছ। নৌকা করে রাতারগুল ঘুরে বেড়ানো তো হয়ে উঠতে পারে দারুণ এক এডভেঞ্চার।

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এই বনের অবস্থান। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। রাতারগুলে জলে কোমড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষদের দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমান ভরা বর্ষা মৌসুমে। বনময় ঘুরে বেড়ানো যায় নৌকায় চড়ে। ডিঙিতে চড়ে বনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পাবেন দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট।

জলমগ্ন বলে এই বনে সাপের আবাসটাই বেশি। বানরও আছে বনে, তবে সংখ্যায় কম। তাছাড়া চোখে পড়বে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিলসহ নানা জাতের পাখি।

রাতারগুল যেতে পারেন দু'দিক দিয়ে। সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের পেছন থেকে একটা বাইপাস রোড ফতেহপুর হয়ে হরিপুরে গিয়ে মিশেছে। এদিকেও যেতে পারেন। অথবা জাফলং রোডেও যেতে পারেন। তবে যেতে হবে সিলেট থেকেই। যাত্রার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিক্সাই সবচেয়ে ভালো যানবাহন। নগরীর আম্বরখানা থেকে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০ টাকা। এছাড়া অন্য গাড়ি রিজার্ভ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া গুনতে হবে একটু বেশি।

আম্বরখানা থেকে চল্লিশ মিনিট পথ যাওয়ার পর পৌঁছে যাবেন গোয়াইন নদীর তীরে। এখানে নেমেই ড্রাইভারের মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিন (ফিরে এসে যেন খুঁজে পেতে সমস্যা না হয়)। তারপর চলে যান সোজা নদীর ঘাট। সেখান থেকে নিতে হবে নৌকা। প্রতি নৌকায় উঠতে পারবেন ৪/৫ জন যাত্রী, আর খরচ পরবে নৌকাপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। নৌকা আপনাকে নিয়ে যাবে জলাবনের গহীনে। আর সেখানে আপনার জন্যে অপেক্ষমান অবারিত অদ্ভুত এক বন, যা হয়তো আপনি এতোদিন কেবল 'অ্যামাজন' নিয়ে তৈরি সিনেমাতেই দেখেছেন!

লোভাছড়া চা-বাগান:


কানাইঘাট উপজেলা ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের লোভার পশ্চিম-উত্তর তীরে বাগিচা বাজার নামক স্থানে এর অবস্থান। সিলেট থেকে প্রথমে ৪০ টাকার বাস ভাড়া দিয়ে আসতে হবে কানাইঘাট উপজেলা সদর নৌকা ঘাটে । তারপর ২৫ টাকার ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া দিয়ে লোভা চা-বাগানে পৌছাতে পারবেন। অপরূপ লোভা নদী আর চা বাগানের কাছে ঝুলন্ত সেতু আপনার দৃষ্টিকে দেবে প্রশান্তি।

লোভাছড়া পাথর কোয়ারী:
কানাইঘাট উপজেলার উত্ত্বর পূর্বে এর অবস্থান। সিলেট থেকে ১ম এ ৪০ টাকার বাস ভাড়া দিয়ে কানাইঘাট উপজেলা সদর আসতে হবে। তারপর নৌকা ঘাটে এসে ইঞ্জিন নৌকার মাধ্যমে ২৫ টাকার ভাড়া দিয়ে আপনি লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পৌঁছাতে পারবেন।

লালাখাল:
পান্না সবুজ জল। ওপারের সবুজ পাহাড় এসে মিশেছে এই জলে। পাশেই চা বাগান। এই সব মিলিয়ে লালাখাল। সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে এর অবস্থান। সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। অনেক ভাবেই লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রো, লেগুনা বা অন্য গাড়িতে যেতে পারেন সহজেই।

জাফলং:


সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট জেলা সদর হতে সড়ক পথে দুরুত্ব মাত্র ৫৬ কি.মি। সিলেট থেকে যাতায়াতঃ সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/ সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১.৩০ থেকে ২ ঘন্টা। ভাড়াঃ বাস -জনপ্রতি ৬০ টাকা মাইক্রোবাস- ৪০০০-৫০০০ টাকা (যাওয়া-আসা), সি এন জি চালিত অটো রিক্সাঃ ৭০০ টাকা।

ভোলাগঞ্জ:
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা সিএনজিচালিত অটোরিক্সাযোগে যাতায়াত করতে পারেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্তও রয়েছে একই বাহন।

মালনীছড়া চা বাগান:
মালনীছড়া এবং লাক্কাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট হতে গাড়ীতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। সিলেট শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা অটোরিকশা বা গাড়িতে বিমানবন্দর রোডে চা বাগানটি পাওয়া যাবে। গাড়িতে যেতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিট এর পথ। রিকশাযোগে যেতে আধঘন্টা লাগবে।

হাকালুকি হাওর:
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘিলাছড়া গ্রামের দিকে অবস্থিত। সিলেট হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে বাস/সিএনজি/লেগুনা করে মাইজগাঁও বাজারে যেতে হয়। সেখান থেকে পুনরায় সিএনজি যোগে ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে গেলেই হাকালুকি হাওর ভ্রমণ করা যাবে। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকার মত খরচ হবে।

পাংথুমাই:


সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম 'পাংথুমাই'। পেছনে মেঘালয় পাহাড় এবং বয়ে চলা পিয়াইন নদীর পাড়ে এই গ্রামটি সম্ভবতঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রামগুলোর একটি। এই গ্রামের পাশেই বিশাল ঝর্ণা ' বড়হিল'।

সিলেট আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সি এন জি ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট বাজারে থানা সংলগ্ন বাজারে যাবেন। ভাড়া পড়বে আনুমানিক ৪০০-৫০০ টাকা । সেখান থেকে আবার ট্যাক্সি নিয়ে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন এর পাংথুমাই গ্রামে যাওয়া যায় । ভাড়া পড়বে আনুমানিক ১৫০-২০০ টাকা ।

টাঙ্গুয়ার হাওর:
টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝর্ণা এসে মিশেছে এই হাওরে। স্বচ্ছ টলমলে জলের নিচে দেখা যায় ঘাস। অতিথি পাখি কখনো জলকেলি, কখনো খুনসুটিতে কিংবা খাদ্যের সন্ধ্যানে এক বিল থেকে অন্য বিলে এক হাওর থেকে অন্য হাওরে গলায় প্রাণকাড়া সুর তুলে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছয়কুরি কান্দা আর নয় কুরি বিলের এ বিশাল জলভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে শীতের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া, সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীত প্রধান দেশ থেকে হাজার মাইল রাস্তা অতিক্রম করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশ্ববর্তী শনি, মাটিয়ান, কানামিয়াসহ আশপাশের হাওরে এসব অতিথি পাখি অবস্থান নেয় ।

এদের মধ্যে, মৌলতি হাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা সরালি, পিয়ারি, কাইম, কালা কুঁড়া, রামকুড়া, মাছরাঙ্গা, কানিবক, পানকৌড়িসহ অনেক পাখি খাদ্যের সন্ধানে এক হাওর থেকে অন্য হাওরে ডানা ঝাপটিয়ে অবাধ বিচরন করে । আর বর্ষায় হাওরে পাবেন নানা প্রজাতির মাছের দেখা।

সিলেট চৌহাট্টা থেকে মাইক্রোবাস যোগে অথবা কুমার গাঁও বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস যোগে সুনামগঞ্জে স্ট্যান্ড পর্যন্ত যাওয়া যায়। সেখান থেকে সাহেব বাড়ি ঘাট অথবা বৈঠাখালিঘাট পর্যন্ত রিকশায় গেলেই সেখান থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অথবা মোটর সাইকেলের যাতায়াতের সু ব্যবস্থা আছে। নৌকায় দিন প্রতি ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা । লা হআর মোটর সাইকেলে তাহিরপুর বাজার পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা। সেখান থেকে নৌকায় টাঙ্গুয়া। হাওরে ঘুরতে ঘুরতে দেখে নিতে পারেন ভারত সীমান্তের অপূর্ব নদী যাদুকাটা, বারিকের টিলা, বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশন ও টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প।

এছাড়াও সিলেটের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের তালিকা:

হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরাণ(রা.) এর মাজার শরীফ
জৈন্তাপূর (পুরানো রাজবাড়ী)
শ্রীমঙ্গল (চা বাগান, লাওয়াছরা বন, মাধব পুর লেক)
তামাবিল
কীন ব্রিজ
ভোলাগঞ্জ
মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ি
হাছন রাজা জাদুঘর
মালনী ছড়া চা বাগান
ড্রিমল্যান্ড পার্ক
আলী আমজাদের ঘড়ি
জিতু মিয়ার বাড়ি
মনিপুরী রাজবাড়ি
মনিপুরী মিউজিয়াম
শাহী ঈদগাহ
ওসমানী শিশু পার্ক
হামহাম জলপ্রপাত
রেমা উদ্দ্যান
এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়ি
মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
নীল কন্ঠ ( ৭ রংঙের চা)

আপনার মন্তব্য

আলোচিত