সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০১৬ ১৩:১৮

পাহাড়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

পাহাড়ে অধিবাসীদের সামাজিক উৎসব 'বৈসাবি' শুরু হয়েছে।

রীতি অনুযায়ি ১২ এপ্রিল ফুল বিজু-তে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসুক উৎসব। এই উৎসব 'বৈসাবি' নামে পরিচিত।

আগামীকাল ১৩ এপ্রিল মূল বিজু। ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব। আজ নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা আদায়ের মধ্য দিয়েই শুরু হয় পাহাড়ের সামাজিক উৎসব।

রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার ভোরে চাকমা রাজবাড়ী ঘাটে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে এই উৎসবের সূচনা করেন।

পাহাড়ী সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ফুল ভাসাতে আসেন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে। এদিকে গর্জনতলীতে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ।

রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, এসব কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি চর্চা রাখার জন্য এবং যা কিছু ভালো ভালো আচার সেসব ধরে রাখার জন্য আমরা এসব আয়োজন প্রতিবছর করে আসছি। এবারও এই আয়োজন করেছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান ৩টি আদিবাসী সমাজের বর্ষ বরণ উৎসব। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। এ উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, বৈসু বা বাইসু , মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবী নামকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের এর প্রথম অক্ষর গুলো নিয়ে।

বৈ শব্দটি ত্রিপুরাদের বৈসু থেকে, সা শব্দটি মারমাদের সাংগ্রাই থেকে এবং বি শব্দটি চাকমাদের বিজু থেকে। এই তিন শব্দের সম্মিলিত রূপ হলো 'বৈসাবি'।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত