১৫ জুলাই, ২০১৬ ২২:২৫
টাকা না নেয়ায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামে এক ধর্ষিতার পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। গ্রামের মাতবররা ঐ পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পরিবারটি এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনা ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা করতে ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দেন মাতবররা। কিন্তু ধর্ষিতা টাকা না নিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ কারণে সালিশে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদারহুদা গ্রামের এক তরুণীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে একই গ্রামের হাফিজুল। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে এসিড মেরে মুখ ঝলসে দেয়ার হুমকি দেয় কলেজছাত্র হাফিজুল।
ঐ ঘটনায় তরুণীটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গোপনে তরুণীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে বিয়ে না করায় ঐ তরুণী গ্রামের মানুষের কাছে বিচার চান। সালিশে অভিযুক্ত হাফিজুলকে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। কিন্তু ধর্ষিতার পরিবার ওই টাকা প্রত্যাখ্যান করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামে আবার সালিশ বসে। গ্রামের মাতবরদের কথা অমান্য করে থানায় মামলা করার কারণে সালিশে ধর্ষিতার পরিবারকে একঘরে করা হয়।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গ্রামের মাতবর আলিউদ্দিন ও যুবলীগ নামধারী নেতা সোনা মিয়া তাঁদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য