সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জুলাই, ২০১৬ ১৪:০১

আজ বাঘ দিবস, বাঘ কমছে সুন্দরবনে

আজ ২৯ জুলাই, বিশ্ব বাঘ দিবস। পৃথিবীতে বাঘ রয়েছে এমন ১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে ক্রমে বাঘ কমছে সুন্দরবনে।

সুন্দরবনে বাঘ কমার কারণ হিসেবে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গণপিটুনি বাঘের মৃত্যু, চোরা শিকারিসহ নানা কারণ। আর এ কারণে সঙ্কটে পড়েছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাই সুন্দরবনে বাঘের আবাসস্থলকে নির্বিঘ্ন করা না গেলে সংরক্ষণ, প্রজনন প্রক্রিয়া ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত’ হয়ে বিলুপ্তির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

সুন্দরবনে বাঘের অবাধ বিচরণ ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব বাধা চিহ্নিত করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবুও ক্রমেই বাঘশূন্য হতে চলেছে সুন্দরবন।

সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ না থাকায় আশঙ্কাজনকভাবে কমছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা। ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ১৯৮২ সালে বাঘ ছিল ৪৫৩টি। ২০০৪ সালে শুমারি অনুযায়ী তা কমে দাঁড়ায় ৪৪০টিতে।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের ভারত অংশে বাড়লেও বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০৬টিতে।  

বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রধান আবাসস্থল সুন্দরবন হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে পানি-মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, শিকারি ও দস্যুদের দৌরাত্ম্য, অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি ও খাদ্য সঙ্কটসহ প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বেশকিছু কারণে বাঘের বাসযোগ্য প্রতিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। ফলে সুন্দরবনে বাঘের আবাসস্থল, জীবনাচরণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।   

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ না থাকায় বেড়েছে বাঘের মৃত্যুর হার। গত তিন দশকে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় চোরা শিকারি ও বনদস্যুদের হানা, গণপিটুনি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, সুন্দরবনের বাঘের সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও প্রবৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় বাধাগুলোকে চিহ্নিত করে অবাধ বিচরণ ও আবাসস্থলকে নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপদ প্রজনন পরিবেশ তৈরির কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত