সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:৪৫

শিবিরই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পেছনে: পুলিশ

‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে এক সাথে কাজ করছে শিবির। জামায়াত শিবির আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ অন্য জঙ্গিগ্রুপদের সঙ্গে কাজ করছে। জঙ্গি গ্রুপদের সহযোগিতাও করছে তারা। এমনকি দেশে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালাতে পরিকল্পনা নিচ্ছে জামায়াত-শিবির।’

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. মারুফ হাসান ৫ আনসারুল্লাহ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ঘেঁটে এমনটি বললেন।

সোমবার (১ আগস্ট)  চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আক্কাস ছাত্র শিবিরের সাথী। রোববার (৩১ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে নগরীর কাঠঘর এলাকা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের নিয়ে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগর ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন এ গোয়েন্দা অফিসার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল - আক্কাস আলী ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে নয়ন (২৩), আতিকুল হাসান ওরফে ইমন (২৬), জামশেদুল আলম ওরফে হৃদয় (২১), মো. রুবেল (২৬) ও মো. মহিউদ্দিন (১৮)।

আক্কাস চট্টগ্রাম কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ, আতিকুল সরকারি কমার্স কলেজে এমবিএস, জামশেদুল আলম ওমরগনি এমইএস কলেজ বাংলা প্রথম বর্ষের, রুবেল বেসরকারি সাউর্দার্ন ইউনিভার্সিটির বিবিএ সেকেন্ড সেমিস্টার এবং মহিউদ্দিন একটি মাদ্রাসার ছাত্র।

তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

উপ কমিশনার মো. মারুফ হাসান আরো বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানতে পারি আক্কাছ আলী নয়ন ছাড়া বাকি চারজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রীয় সদস্য। তারা পতেঙ্গা থানার কাঠঘর এলাকার নামীয় বাড়ির চতুর্থ তলায় গোপন বৈঠক করছিল। এতে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন হামলার পরিকল্পনা চক করছিল শিবিরের সাথি আক্কাছ আলি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে এক সাথে কাজ করছে শিবির। জামায়াত শিবির আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ অন্য জঙ্গিগ্রুপদের সঙ্গে কাজ করছে। জঙ্গি গ্রুপদের সহযোগিতাও করছে তারা। এমনকি দেশে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালাতে পরিকল্পনা নিচ্ছে জামায়াত-শিবির।’

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, সাতটি মোবাইল, ১১টি জিহাদি বই পাওয়া গেছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাজমুল।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুলগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ প্রথমবর্ষের ছাত্র আব্দুল হান্নান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে লাদেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, আব্দুল্লাহ ঠাকুরগাঁও এলাকায় আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের অন্যতম সংগঠক। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেই চট্টগ্রামে এসেছিলেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ইমতাজুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহর বড় ভাই আবুল হাসনাতও জঙ্গি সংগঠনে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ আগে ঠাকুরগাঁওয়ে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়।

এদের সাথে আনসারুল্লাহর আরও মাস্টারমাইন্ডদের যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ৫ জনই এমন তথ্য দিয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত