সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:৫৩

সেই হাতিটিকে উদ্ধারে দেওয়া হবে চেতনানাশক

বানের পানিতে ভারত থেকে বাংলাদেশে ভেসে আসা বন্য হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে আসার ৩৯ দিন পর আজ শুক্রবার হাতিটিকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা।

তাদের এই সিদ্দান্ত অনুযায়ী হাতিটিকে অজ্ঞান করে ক্রেনের মাধ্যমে ট্রাকে উঠিয়ে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে নেওয়া হবে। ভারতের তিন সদস্যসহ বাংলাদেশের ২২ সদস্যের দল গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে হাতিটিকে উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায়।

ইতিমধ্যে বন্য এ হাতিটি উদ্ধারে সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা থেকে ক্রেন এনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

বন্য হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশের প্রধান বনরক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান আসাম রাজ্যের সাবেক প্রধান বনরক্ষক বিতেশ ভট্টাচার্য। ভারতের প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্যরা হলেন আসামের গুয়াহাটির কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জন সরমা কুশল কুনওয়ার ও ভারতীয় বন পরিষেবা (আইএফএস) কর্মকর্তা চৌধুরী সালমান উদ্দিন।

অপরদিকে, ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ঢাকার বন্য প্রাণী সার্কেলের উপবনসংরক্ষক সাহাব উদ্দিন, ময়মনসিংহ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা গোবিন্দ রায়, জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন, ঢাকার সাবেক উপপ্রধান বনরক্ষক তপন কুমার দে, বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহকারী বনরক্ষক মাহবুব মোর্শেদ, ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বন্য হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বানের পানিতে ভেসে কুড়িগ্রামের রৌমারী, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর হয়ে গত ২৭ জুলাই জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আসে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত