সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০১৬ ২২:০৭

পেট্রল বোমা ও জিহাদি বইসহ আটক ৪

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের দোকান ঘরে জিহাদী বই ও পেট্রল বোমা রেখে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেল চার যুবক। এ ঘটনায় র‌্যাব ওই চারজনকে আটকের পর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।

আজ শনিবার বিকালে র‌্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপতিতে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার রাতে স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি কল্লোল কুমার দত্তের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারীর চতালিয়া বাজার থেকে ওই চার যুবককে আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৫টি পেট্রল বোমা, ৫টি চকলেট বোমা ও ১১টি ইসলামী রাজনৈতিক মতাদর্শের জিহাদী বই।

আটককৃতরা হলেন- সদরের কালীদাসেরবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর নবীর ছেলে শরিফুল আজম রিপন (২৩), একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে ইসমাইল হোসেন রুবেল (১৯), আবু সিদ্দিকের ছেলে তারেক রহমান (১৯) ও দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মৃত শফি উল্যার ছেলে মো. শহীদ (২৫)।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে আটক শরিফুল আজম রিপন ও ইসমাইল হোসেন রুবেল র‌্যাবকে ফোন করে জানায়, দক্ষিণ মান্দারীর চতালিয়া বাজারে মো. রুবেলের (২২) দোকানের ভিতর বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদী বই মজুদ রয়েছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ওই বাজারে অভিযানে যায় র‌্যাব সদস্যরা। তখন তথ্যদাতা শরিফুল আজম রিপন ও ইসমাইল হোসেন রুবেলকে র‌্যাব সাথে করে ওই দোকানে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের তথ্যমতে, দোকানটির  চৌকির নিচ থেকে ৫টি পেট্রল বোমা, ৫টি চকলেট বোমা এবং ১১টি ইসলামী রাজনৈতিক মতাদর্শের জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু রিপন ও রুবেলের অতি উৎসাহের বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র‍্যাব। এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে, দোকানীকে ফাঁসাতে তারা এ ষড়যন্ত্র করেছে। দোকান মালিকের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চারজন মিলে নাটক সাজিয়ে র‌্যাবকে মোবাইল ফোনে সংবাদটি জানায়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত অপর দুজনকে মান্দারী এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদী বই নিজেদের হেফাজতে রেখে অপরের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে তা ব্যবহার করা এবং সরকারি কর্মচারীদেরকে ভুল তথ্য প্রদান করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত