সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:৩২

মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক সুনীল ব্যানার্জির দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সুনীল ব্যানার্জির দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৮ আগস্ট)।

২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ নিজ বাস ভবনে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

তাঁর স্ত্রী শিখা ব্যানার্জি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। সুনীল ব্যানার্জির একমাত্র সন্তান সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ ভয়েস অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসবিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক।

১৯৪৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। বিসিএস পাশ করেও ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেননি সুনীল ব্যানার্জি। এমনকি এলএলবি পাশ করে স্বাধীন আইন পেশায় যোগ না দিয়ে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক জনকণ্ঠ।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রিপোর্ট লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে একুশে গ্রন্থমেলায় সুনীল ব্যানার্জির লিখিত বই ‘সাংবাদিকতায় বিড়ম্বনা’ পাঠক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আজীবন সদস্য ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন।

অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ব্যানার্জি’কে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য অবদানের জন্য সুনীল ব্যানার্জিকে ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মরণোত্তর স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত