সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:০৯

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে কারাগারে পাষন্ড পিতা

ফরিদপুরে স্ত্রী ঝগড়া করে চলে যাওয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি অনেকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

১৩ বছর বয়সী ওই মেয়েটির মা ও নিকট আত্মীয়কে না পাওয়ায় তাকে ফরিদপুর মহিলা ও শিশু কিশোরী আবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় জেলার নারী নেত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা ওই বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত তিন থেকে চার মাস আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরের এক বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যে এক মাস আগে মেয়েটির মা তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে চলে যান। এই সুযোগে বাবা তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।

গত এক মাস ধরে জন্মদাতা বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হচ্ছিল মেয়েটি।

প্রতিবেশীরা জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ব্যক্তি মেয়েকে প্রতিদিনের মতো ধর্ষণ করতে গেলে মেয়েটি চিৎকার দেয়।

পরে প্রতিবেশী ও বাড়ির মালিক মেয়েটিকে দেখতে এলে মেয়েটি তাদের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে বাসার মালিক ও প্রতিবেশীরা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়।

আটকের পর ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে ভাড়া বাসা থেকে ওই বাবাকে আটক করা হয়। তিনি আমাদের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। এখন ওই ব্যক্তি ফরিদপুর জেলহাজতে রয়েছে।

এসআই জাহাঙ্গীর আরো জানান, শনিবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের ওটিসিতে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আর এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলা করেছেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি তার আপন বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে। আমরা মেয়েটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেছি। ধর্ষণের ঘটনা সত্যি বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।

এদিকে, মেয়েটির তেমন কেউ না থাকায় তাকে ফরিদপুর মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই জাহাঙ্গীর। সূত্র: যুগান্তর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত