সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:১৪

শিক্ষার্থীকে না চিনলে শিক্ষকের চাকরি বাতিল: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘ছাত্রকে যিনি চিনবেন না তার শিক্ষক হওয়ার কোনও যোগ্যতা থাকে না। আমরা এখন সেই তথ্য নিচ্ছি কে তার সব ছাত্রকে নামে চেনেন না, চেহারায় চেনেন না। তার (শিক্ষকের) এমপিও হলে কেটে দেবো, সরকারি চাকরি হলে বাতিল করে দেবো।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে ‘শিক্ষার উন্নত পরিবেশ, জঙ্গিবাদমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘কোনও উপায় নেই। কারণ আমার শিক্ষক যদি তার ছাত্রকে না চিনলো কেন জনগণের টাকা আমি তাদেরকে দেবো?’

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া সভায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অংশ নেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কোনও কোনও টিচার বলেন এতো ছাত্র, আমরা কী করে প্রত্যেককে চিনবো? আপনি আমার ছাত্রকে চিনবেন না আর আপনি লেখাপড়া শেখাবেন এটা কোনোদিন সম্ভব নয়। চিনতেই হবে।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এতো ছাত্র ভর্তি করছেন কেন? আমরা অনুমোদন দেই না, আমার ঘার ধরে আপনারা সই নিয়ে আসেন যে আমার ছাত্র বাড়াইয়া দাও। আমার কর্মকর্তারা বেকায়দায় পড়ে বাধ্য হন অনুমোদন দিতে।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি বেশি হয়ে যায় মাপ মতো ভর্তি করেন, কম ভর্তি করেন। যা চিনবেন সেই পরিমাণ ভর্তি করেন এবং নিয়ম তাই। জোর করে আমাদের কাছে থেকে অনুমোদন নিয়ে যান এবং নিয়ে গিয়ে এই অবস্থা করেন। তাই শিক্ষকের দায়িত্ব আপনার সন্তানকে আপনি দেখে রাখবেন, জেনে রাখবেন, বুঝে রাখবেন, তার গার্জিয়ানের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।’

শান্তির ধর্ম ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনও সন্তানকে তার বাবা-মার চাইতে আর কে বেশি ভালোবাসতে পারে? সেই বাবা-মা তার সন্তানের লাশটা পর্যন্ত নিচ্ছে না। তুমি এতোই গুনার কাজ করছো, এতই লজ্জার কাজ করছো যে বাবা-মা পর্যন্ত স্বীকার করছে না। আর আল্লাহর তৈরি মানুষকে তুমি হত্যা করবা আর আল্লাহ তোমাকে নিয়া হুরপরির কোলে বসাইয়া বেহেস্ত দিয়া দিবে? এতো সহজ না।’

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, শিক্ষা সচিব সোবরাব হোসাইন, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মুনীর হোসেন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত