ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ২১ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও সেখানে ডাক্তার রয়েছেন মাত্র একজন। ফলে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন রোগীদের পরতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার নিয়োগের প্রয়োজন হলেও গত দুই মাসে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, মহেশপুর হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে আছেন মাত্র একজন ডাক্তার। ২১ জনের মধ্যে ১১ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার ও ওষুধ না থাকার কারণে রোগীদের ভোগান্তি এখন চরমে। গত ২ মাস ধরে এ অবস্থা চললেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার নাসির উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে ১৩ থেকে ১৪ জন ডাক্তার কর্মরত ছিলেন। তারা উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে চলে গেছেন। হাসপাতালের এই অবস্থার বিবরণ দিয়ে উপর মহলে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা হয়নি।

তিনি আরো জানান, হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ প্রয়োজন।

মহেশপুর হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকার্তা ডা. প্রফুল্লকুমার জানান, চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে হাসপাতালে রোগীদের মান সম্মত চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। ইউএইচএফপিও বাদে একজন ডাক্তার জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতাল চালানোর স্বার্থে কোনো কোনো সময় ইউনিয়ন সাব সেন্টার থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।

এদিকে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।