সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ নভেম্বর, ২০১৬ ১৩:১৩

ইন্টারনেটে নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

পুলিশের হাতে আটক ধর্ষক আলমগীর

রংপুর নগরীর একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রীকে আটকে রেখে ইন্টারনেটে তাদের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটলেও ভয়ে তারা প্রকাশ করেননি বলে পুলিশকে জানান।

মঙ্গলবার রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর ওই তিন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এরা হলেন নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন, তার দুই সহযোগী পলাশ ও শাকিল।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলামের দেওয়া ভাষ্য, গত ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রংপুর শহরের মেডিকেল পূর্বগেটের একটু দূরে বেসরকারি একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী পড়াশোনার জন্য নোট নিতে প্রতিষ্ঠানের পাশে সর্দারপাড়ায় একটি মেসে তাঁদের এক সহপাঠী নিমাইয়ের কাছে যান।

সেখানে যাওয়ার পর তৃতীয় বর্ষের আলমগীর তাদের বাইরে দাঁড়িয়ে না থেকে উপরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তারা ‍দুজন ছাত্রাবাসের উপরে যান। এরপর আলমগীর তাদেরকে নিমাইয়ের কক্ষে আটকে রাখেন এবং নিমাইকে বের করে দেন। পরে দুই সহযোগী পলাশ ও শাকিলকে ডেকে এনে রাতভর ধর্ষণ করেন বলে মামলায় বলা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণের আগে ওই ৩ জন দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ছবি ধারণ করে এবং সেই ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। লোক জানাজানির ভয়ে ওই দুই ছাত্রী প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে তারা অভিভাবকদের জানান। পরিবারের সম্মতিতে দুই ছাত্রীর পক্ষ থেকে একজন ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিষয়টি তাকে জানান। এরপর তিনি কোতোয়ালি থানায় অবহিত করলে ওসি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।

“মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে থানায় নিয়ে মামলা করা হয়।”

কোতোয়ালি থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, দুই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত