নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:১৯

পৃথিবীকে দেখিয়েছি- আমরাও পারি : জাফর ইকবাল

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার থানার মাঠে বুধবার (১১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস।

বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই ক্লাস পরিচালনা করেন লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এতে স্কুল পর্যায়ের প্রায় ৩২শ' শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

ক্লাস শেষে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, 'আজকের এই আয়োজনের মাধ্য দিয়ে পৃথিবীকে আমরা দেখাতে চেষ্টা করেছি- আমরাও পারি। তোমরা অনেক বড় ব্যাবহারিক ক্লাস নিতে পারো। আমরা তার থেকে বড় করতে পারি।'

বৃহৎ এই ব্যবহারিক ক্লাসের আয়োজন করে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন। সেখানকার ইউএনও উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে উৎসাহিত হবে। বিজ্ঞানভীতি দূর হবে।

এই আয়োজন উপলক্ষ্যে বুধবার সকাল থেকেই কুলিয়ারচর উপজেলায় বিরাজ করছিলো উৎসবের আমেজ। ক্লাসে অংশ নিতে শীত উপেক্ষা করে অভিভাবকদের নিয়ে সকালে থানা মাঠে উপস্থিত হয় শিক্ষার্থীরা। কুলিয়ারচর থানার মাঠে ২৪৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৭২ ফুট প্রস্থের একটি অস্থায়ী ক্লাসরুম তৈরি করা হয়। পুরো স্থানটি ১০ ফুট উচ্চতার সাদা কাপড়ে ঘিরে সেখানে ২১টি এলইডি স্ত্রিনও বসানো হয়।

ক্লাস পরিচালনায় অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সহায়তা করেন কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ক ৮০ জন শিক্ষক।  

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, বিজ্ঞান বিজয়ে জানার জন্যই এই ক্লাসে অংশ নিয়েছে তারা।

‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস’ হিসেবে এই ব্যবহারিক ক্লাসটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হবে জানিয়েছেন এই ক্লাসের আয়োজক কুলিয়ারচর উপজেলার ইউএনও উর্মি বিনতে সালাম।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস আয়োজনের কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ার।

গত বছরের ১৬ অগাস্ট দেশটির জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহ উপলক্ষে কুইন্সল্যান্ডে একসঙ্গে দুই হাজার ৯০০ ছাত্রছাত্রীর জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যবহারিক ক্লাসের আয়োজন করে এই রেকর্ড নিজেদের করে নেয় তারা।

এবার বাংলাদেশে হতে যাওয়া বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাসটিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করতে গিনেস কমিটির কাছে গত বছরের ৪ এপ্রিল আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কুলিয়ারচরের ইউএনও উর্মি বিনতে সালাম।

তিনি বলেন, “কমিটি গত ১৪ নভেম্বর এই আবেদন গ্রহণ করে। এতে করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত