এম আরমান খান জয়, গোপালগঞ্জ

৩০ জুলাই, ২০১৭ ১৮:১৭

কোটালিপাড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত ও অছাত্ররা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও অছাত্রদের নিয়ে পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঢাকা এবং বিদেশ থাকেন এমন ব্যক্তিদেরও এই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। আর এ কারণে কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক ত্যাগী নেতা আশানুরূপ পদ না পেয়ে পদত্যাগ করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে সভাপতি ও আলীউজ্জামান জামিরকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগ ২ সদস্য বিশিষ্ট কোটালিপাড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি গঠনের আড়াই বছর পর চলতি বছরের ১৫ জুলাই ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন জেলা ছাত্রলীগ।

কমিটিতে থাকা অনুপ রতন, ইমরান সিকদার, সজল কর, মনির হোসেন মুনাব্বারকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে এবং তাদের কারো ছাত্রত্ব নেই বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এছাড়া কমিটিতে ব্যবসায়ী আলিউজ্জামান আলীকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ও সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সুমন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এবং হাসিবুল হাসান প্রিন্স ঢাকায় থাকেন।

অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জুলহাস ইসলাম বিবাহিত, এক সন্তানের জনক ও ব্যবসায়ী।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে এদেরকে পদ দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটির এক সপ্তাহের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলীম সজিব পদত্যাগ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে পদ বঞ্চিত এক নেতা বলেন, ছাত্রলীগের সমস্ত কর্মকাণ্ডের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকেও পদ পেলাম না। অর্থ এবং স্বজনপ্রীতির কাছে হেরে গেছি।

অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়ার কথা অস্বীকার করে কোটালিপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, সাজ্জাদ সুমন শীঘ্রই দেশে ফিরে আসবেন। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এবং বিবাহিত যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, অছাত্র, বিবাহিত ও ব্যবসায়ীদের পৌর কমিটিতে রাখা হলে যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত