ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

০৩ আগস্ট, ২০১৭ ২৩:২০

মোবাইল চুরির অভিযোগে শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১

মোবাইল চুরির অভিযোগে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রূপদা গ্রামে দশ বছরের এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ নির্যাতনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সাগর (১০) নামের শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। সাগর একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় দুপুরে শিশু নির্যাতনকারী আবু বকর ওরফে বাক্কাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রুপদা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আবু বকর ওরফে বাক্কার ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। আবু বকর ও তার ছেলে নাসির উদ্দিন এ ঘটনায় সন্দেহ করে শিশু সাগরকে। তারা পিতা-পুত্র মিলে শিশু সাগরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে।

প্রতিবেশী নাছির উদ্দিন বলেন, সাগরের মায়ের সাথে বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। মা ঢাকায় থকে। শিশু সাগর তার বাবা ইউসুফ আলীর কাছে থাকলেও তার কোন খোজ খবর নেয় না বাবা।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আবু বকরের স্ত্রী তাকে জানায়, শিশু সাগর তাদের ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি করেছে। কিন্তু সাগরের কাছ থেকে তারা কোন মোবাইল উদ্ধার করেনি। এতে বিষয়টি তার কাছে রহস্যজনক বলে মনে করেন নাছির উদ্দিন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াসিম আকরাম জানান, তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। তিনি মিটিংয়ে আছেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি দেখবেন।

অভিযুক্ত আবু বকর ওরফে বাক্কা শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ঘর থেকে সাগর তিনটি মোবাইল চুরি করে। আমি তাকে হালকা চড়থাপ্পড় মেরেছি। গাছে বেঁধে নির্যাতনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আংশিক সত্যতা পেয়েছি। শিশুটিকে গাছে বাঁধা হলেও তাকে মারা হয়নি। পুলিশ অভিযুক্ত আবু বকরকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত