সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ২৩:১৮

রথীশ হত্যা: চাকরি থেকে বরখাস্ত স্নিগ্ধা ও কামরুল

রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নিহতের স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার তাদেরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের দিন থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

স্নিগ্ধা ও কামরুল নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। তার মৃত্যুর পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাবুসোনাকে হত্যা করেন স্নিগ্ধা ও কামরুল। ঘটনার পাঁচদিন পর রংপুর শহরে রথীশের বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় নিহত বাবুসোনার ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় স্নিগ্ধা ও কামরুলসহ তাদের দুই ছাত্র সবুজ ও রোকনুজ্জামান ছাড়াও বাবুসোনার ব্যক্তিগত সহকারী মিলন মোহন্তকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে মিলন গত ১৩ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে মারা যান।

১৯৯৪ সালে একই দিনে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদেন কামরুল ও স্নিগ্ধা। একই স্থানে চাকরির সুবাদে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুসোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই দুইজন।

নিহত রথীশ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় রাষ্ট্র-পক্ষের আইনজীবীও ছিলেন তিনি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত