সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ মে, ২০১৮ ০০:৫১

খুলনার নগরপিতা নির্ধারণ আজ

সব শঙ্কা কাটিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এরই মধ্যে ভোট গ্রহণের সব মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। খুলনার নগরপিতা হওয়ার দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী।

প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

এছাড়া মহানগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোট কক্ষ ১ হাজার ১৭৮টি। ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার ৯৭২ জন কর্মকর্তা।

এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার রয়েছেন ২৮৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ১ হাজার ৫৬১ জন এবং পোলিং এজেন্ট রয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন।

এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্যমতে, ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ)।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। কে হচ্ছেন নগর পিতা- এনিয়ে গোটা শহরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়েও রয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাসহ নগরজুড়ে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

রোববার (১৩ মে) দুপুর থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি নেমেছে নগরীতে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, ‌'সুষ্ঠ নির্বাচন উপলক্ষে মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটের দিন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, এপিপিএনের প্রায় ১০হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনে তিন হাজার ৪৩৭ জন পুলিশ, ১৬ প্লাটুন বিজিবি ও ৩০০ এপিবিএন সদস্য এবং আনসারের চার হাজার ৮৪৫ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৩১টি মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৩২টি সেক্টর পার্টি, ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত