সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুন, ২০১৮ ০৮:৪৭

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে প্রবাসীর মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসল করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মো. আরাফাতের (২৫) মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহরের মধ্যম রামপুরায়। তাঁর বাবার নাম আলী আল কারাত মুন্সি।

পুলিশ জানায়, ঈদের ছুটিতে আরাফাত যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার বাবা-মা ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে আরাফাত কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। আগামী রোববার তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল।

সৈকতে পর্যটকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি জানান, উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নেমে আরাফাত নিখোঁজ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আরাফাতের সাঁতার জানা ছিল না। তা ছাড়া ওই সময় সমুদ্রে ভাটার স্রোতের টান ছিল।

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হাজারো মানুষের সঙ্গে কোমর সমান সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করছিলেন আরাফাত। হঠাৎ বিশাল একটি ঢেউয়ের ধাক্কায় আরাফাত ডুবে যান। এ সময় অন্যান্য লোকজন হইচই শুরু করলে লাইফগার্ড কর্মীরা সমুদ্রে নেমে আরাফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পু চ নু প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আরাফাতের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন (১৭ জুন) থেকে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে আসেন অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটক। শুক্রবার সকালেও অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সমুদ্রে নামেন গোসল করতে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলের জন্য কিছু এলাকা সংরক্ষিত রাখা হলেও হাজার হাজার পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে সৈকতের আরও কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে গোসলে নামছেন। ঢেউয়ের তোড়ে অনেকে ভেসে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ১০-১২ জনকে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করে প্রাণে রক্ষা করছেন লাইফগার্ড কর্মীরা।

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি বলেন, লাবণী পয়েন্ট ছাড়া সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, সিগাল, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্টে গোসলে নামা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে পর্যটকদের সতর্ক করতে সৈকত এলাকায় একাধিক লাল নিশানা উড়ানো হলেও কেউ তা মানছে না। বিপুলসংখ্যক পর্যটকদের রক্ষায় টুরিস্ট পুলিশের ১১২ জন সদস্যকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গোসলে নামার আগে অন্তত একবার জোয়ার-ভাটা তথ্যটা সবার জেনে নেওয়া উচিত। ভাটার সময় গোসলে নামা বিপজ্জনক। এ সময় লাল নিশানা উড়ানো হয়। আর জোয়ারের সময় উড়ানো হয় সবুজ নিশানা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত