সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জুলাই, ২০১৮ ১২:৪৯

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গুতেরেস ও কিম

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার জীবনাচরণ দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনি গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

সোমবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছান। এর আগে বেলা ১০টার দিকে সৈকত পারের কলাতলীর তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের গাড়ি বহর বের হয় এবং মেরিন ড্রাইভ হয়ে সড়ক পথে উখিয়ার পথে রওয়ানা হন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

এসময় তাঁরা কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া—এই তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পাঁচটি কেন্দ্রে রোহিঙ্গা দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ব্র্যাক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নারী ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া লম্বাশিয়া ও মধুরছড়ায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাবসতি ঘুরে দেখবেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, সফরের এই কর্মসূচিগুলোর পর বেলা আড়াইটার সময় কুতুপালংয়ের ডি-ফাইভ সেন্টারে প্রেস বিফ্রিং করবেন তাঁরা।

রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে ও বুঝতে এবং বাংলাদেশের প্রতি সমবেদনা জানাতে আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম গত শনিবার ঢাকায় আসেন। তাঁরা গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

বর্তমানে কক্সবাজারে উখিয়া ও টেকনাফে ৩০টি আশ্রয় শিবির রয়েছে। এই আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮। এর মধ্যে উখিয়ার ১২টি আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গা আছে সাত লাখ। এর মধ্যে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে আছে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা। গত জুনের মাঝামাঝিতে সাত দিনের ভারী বর্ষণ, পাহাড় ধস ও বন্যায় দুজনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ৩১ জন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত