সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:২৯

তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন আজ

নারীবাদী ও নির্বাসিত সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন আজ।

তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। কেবল লেখালেখির কারণে নব্বুইয়ের দশকে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে দেশত্যাগে বাধ্য হন তিনি।

লেখালেখির পাশাপাশি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে। তাঁর পিতা রজব আলীও ছিলেন একজন একজন চিকিৎসক। মা ইদুল আরা ছিলেন গৃহিণী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তসলিমা নাসরিন ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে এমবিবিএস পাস করেন।

এমবিবিএস পাসের পর তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকুরি নেন। তিনি যখন ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগ করেন তখন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞানবিশেষজ্ঞ (অ্যানেসথেসিওলজিস্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাহিত্যে জগতে প্রবেশ সত্তর দশকের শেষভাগে কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ১৯৮১ সালে প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন যার নাম শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা।

এ পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননাগুলোর মধ্যে রয়েছে, আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯২ এবং ২০০০; নাট্যসভা পুরস্কার, বাংলাদেশ, ১৯৯২ ; ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার, ১৯৯৪; ফ্রান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ১৯৯৪; সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, ১৯৯৪; যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা, ১৯৯৪; নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার, ১৯৯৪।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা, ১৯৮১; নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে, ১৯৮৯; আমার কিছু যায় আসে না, ১৯৯০; অতলে অন্তরীণ, ১৯৯১; বালিকার গোল্লাছুট, ১৯৯২; বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা, ১৯৯৩; আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে, ১৯৯৪; নির্বাসিত নারীর কবিতা, ১৯৯৬; জলপদ্য, ২০০০; খালি খালি লাগে, ২০০৪; কিছুক্ষণ থাকো, ২০০৫; ভালোবাসো? ছাই বাসো!, ২০০৭; বন্দিনী, ২০০৮।

নির্বাসিত এ সাহিত্যিক বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় লেখালেখির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকী এবং পত্রপত্রিকায়ও নিয়মিতভাবে লিখছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত