সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১৭:২২

কুমিল্লায় আ. লীগ ও এলডিপি’র দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১০

কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামী লীগ ও এলডিপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলার মহিচাইল বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন- হরিনা গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মাইজখার ইউনিয়ন এলডিপি’র সদস্য মজিবুর রহমান (৫৫) এবং গণতান্ত্রিক যুবদল মাইজখার ইউনিয়ন শাখার সদস্য মাহবুবুর রহমান (৪৭), মহিচাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হক আব্দুল্লাহ (৫৫), একই গ্রামের আবদুল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ওসমান গণি (২০), মোখলেছ মিয়ার ছেলে গণতান্ত্রিক ছাত্রদল নেতা রিফাতসহ (২০) অন্যান্যরা।

এদিকে শনিবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আব্দুল হক আব্দুল্লাহর ছেলে ইউসুফ বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শনিবার বিকালে মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে মহিচাইল হরিণা গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে বিল্লাল ও মহিচাইল গ্রামের মোখলেছের ছেলে রিফাতের সঙ্গে তাদের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাতাড্ডা গ্রামের রাস্তার মাথায় এলডিপি’র লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুল হক আব্দুল্লাহ ও ওসমান গণি গুরুতর আহত হয়েছে।

এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের ভাগিনা গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ভূইয়া জানান, মহিচাইল-ছাতাড্ডা রোডের পাকা রাস্তার সংস্কার কাজ করার সময় মহিচাইল হরিনা গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে বিল্লাল ও আলম মজুমদারের ছেলে রাজু মজুমদার ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। ওই ঘটনায় মহিচাইলের লোকজনের সঙ্গে রিফাতও চাঁদাবাজ বিল্লালকে আটক করে মারধর করে। এই ঘটনার পর রিফাতের ওপর বিল্লাল ও রাজু ক্ষুব্ধ হয়। শনিবার ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের পর রিফাতকে একা পেয়ে বিল্লাল ও রাজু মারধর করে এবং রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে ওই হামলার প্রতিবাদে রিফাতের লোকজন এই ঘটনা ঘটায়।

শনিবারের ঘটনার জের ধরে রোববার সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহিচাইল বাজারে ড. রেদোয়ান আহমেদের এর মালিকানাধীন একটি মার্কেটে হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর ও দুই নেতাকে মারধর করে।

রাজিব আরও জানান, চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর আমাদের একটি দোকানের ভিতর থেকে আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, রোববারের সংঘর্ষের খবর তিনি জানেন না। তবে মহিচাইল বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই মহিচাইল গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দিনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত