সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১৩

স্বাধীনতা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামী নেতা ফয়সাল মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) উপজেলা শহরে তার গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাও রয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আসাদুজ্জামান স্টালিন অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার উপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ বাংলাদেশকে অস্বীকার করে বিজয় দিবসকে নিয়ে ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় স্বাধীনতার পক্ষের সংগঠনগুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মানিকুজ্জামান বাদী হয়ে ফয়সাল মুরাদসহ জামায়াত-বিএনপির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার সাক্ষী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা জানান, মঙ্গলবার আমার কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফ্ফার, এনএসআই-এর ফিল্ড কর্মকর্তা তৌফিকসহ কয়েকজন বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ এবং বিএনপির লেলিন নামে একজন গিয়ে সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী আজিজুল ইসলামের একটি মতবিনিময় সভার জন্য অনুমতি নিতে চান বলে জানান।

ওই সময় ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ সেখানে থাকা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফ্ফারকে বলেন, বিজয় দিবসটি পিছিয়ে দেওয়া যায় না?

একথা শোনার পর এনএসআই কর্মকর্তা তৌফিক বলেন, আপনি এটা কী বলছেন, আপনি কি বাংলাদেশের নাগরিক না?

জবাবে ফয়সাল মুরাদ বলেন- না আমি এদেশ মানি না, স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস মানি না।’ এ কথা শোনার পর এনএসআই কর্মকর্তা তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করেন।

ইউএনও আরও বলেন, ফয়সাল মুরাদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার আমি এক নম্বর সাক্ষী হয়েছি এবং ঘটনা সম্পর্কে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

এদিকে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন রুবেল, জেলা জাসদের সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সারোয়ার হোসেন সাদের, রিকশা শ্রমিক লীগ সভাপতি এনামুল হক, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লাভলুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।

এ বিষয়ে ফয়সাল মুরাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত