২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:২২
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় বাসায় আগুন লেগে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধের মধ্যে মা-মেয়ে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে ছায়া রানী এবং সকাল ১০টার দিকে সুমিত্রার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, ছায়া রানী (৬০) ও তার মেয়ে সুমিত্রা (২৭) দগ্ধ অন্যদের সঙ্গে মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, ছায়া রানীর শরীরের ৬০ শতাংশ এবং সুমিত্রার শরীরের ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাকি সাতজনের অবস্থাও ভালো নয়।
বুধবার ভোরে ফতুল্লা এলাকার কোতালেরবাগ হক বাজারে এক ভবনের তৃতীয় তলায় ছায়া রানীদের বাসায় আগুন লাগে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা প্রাথমিকভাবে পাইপ লাইনের ছিদ্র থেকে ঘরে গ্যাস জমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে ধারণা করলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পরে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসের ছিদ্র থেকে আগুন লাগার কোনো আলামত তারা পাননি। রান্নাঘরের জানালা খোলা ছিল। রান্নাঘর অক্ষত ছিল। যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে মশাল কয়েল দেখা গেছে। পোড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে আগুন ধরেছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বাকি সাতজন হলেন- ছায়া রানীর ছেলে শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তার স্ত্রী মতি অর্চনা (৩৪), তাদের মেয়ে অনামিকা (১৪), ছেলে অর্পিত (৯), শ্রীনাথের ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০) এবং সুমিত্রার স্বামী নারায়ণচন্দ্র (৩৫)।
আপনার মন্তব্য