সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৪৬

সেপটিক ট্যাংকে শিশুর লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ

সাতক্ষীরায় শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে সুস্মিতা দাস নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির বাবার অভিযোগ, ধর্ষণের পর পুকুরের পানিতে ফেলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।

রোববার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জয়প্রকাশ সরকার নামের এক প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তিনি একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

আট বছরের সুস্মিতা আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে। সে গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

সুস্মিতার বাবা প্রশান্ত দাসের অভিযোগ করে বলেন, সুস্মিতা প্রতিবেশী এক বাড়িতে কলেজপড়ুয়া এক মেয়ের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় প্রাইভেট শিক্ষক বাড়িতে ছিলেন না। তাই তার ভাই জয়প্রকাশ সরকার সুস্মিতাকে পড়াতে বসে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুস্মিতাকে ধর্ষণ করে জয়প্রকাশ। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুস্মিতা মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। পরে গ্রামবাসী সুস্মিতাকে খুঁজতে থাকার একপর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলার কথা বললে সবার অজান্তে পুকুর থেকে লাশ তুলে সুস্মিতাকে নিজেদের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জয়প্রকাশকে আটক করা হয়।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, একটি সাধারণ ডায়েরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুস্মিতার লাশ সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জয়প্রকাশ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত