সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৪৩

সরেছেন শ্রমিকরা, ফের সচল বিমানবন্দর সড়ক

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে নামা পোশাক শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এর ফলে এ সড়কে যান চলাচল আবারও শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা শ্রমিক বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মধ্যে একটি বাসে আগুনও দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিমানবন্দরের সামনে থেকে উত্তরার জসিমউদ্দিন ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নিয়ে থাকা শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে যান চলা শুরু হয়।

তবে মঙ্গলবার শ্রমিকরা ফের বিক্ষোভ করবেন কী না তা জানা যায়নি।

শ্রমিকদের বিক্ষোভের সূত্রপাত রোববার থেকে। ওইদিন উত্তরার বিভিন্ন গার্মেন্টসের শত শত শ্রমিক আজমপুর থেকে জসিমউদ্দিন ক্রসিং পর্যন্ত অবস্থান নিলে অচল হয়ে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

পাঁচ ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে তারা রাস্তা থেকে উঠে যাওয়ার আগে সোমবার ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ীই তারা সোমবার সকালে রাস্তায় নামেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টার পর থেকে শ্রমিকরা রাস্তায় জড়ো হতে থাকে।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় সকাল ১১টার পর উত্তরার আজমপুরে প্রথমে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বেলা সোয়া ১২টা থেকে বিমানবন্দরের সামনেও যান চলাচল বন্ধ হয়।

দুপুরের দিকে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে একটি বাসে শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানা যায়। দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের সামনের চত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এনা পরিবহনের বাসটি ভাংচুরের পর তাতে আগুন দেন শ্রমিকরা।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়ে বলেন, প্রায় ১০ জন কারখানা মালিক বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশের বড়সড় বহর শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। ২০ মিনিট পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত