সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ এপ্রিল, ২০১৯ ১২:০২

৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে পাটকল শ্রমিকরা

ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি জুটমিলের শ্রমিকরা। রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে এসব পাটকলে টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

সেই সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে চার ঘণ্টার রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি।

মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ নয় দফা দাতিতে পাটকল শ্রমিক লীগ সিবিএ ননসিবিএ পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড়ের কবির বটতলা সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

তাদের অবরোধের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলনা রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেনও ছেড়ে যায়নি। ফলে যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে।

খুলনার স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, শ্রমিকরা ট্রেন ছাড়তে বাধা দেওয়ায় বেনাপোলগামী কমিউটার, ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস এবং সৈয়দপুরগামী রূপসা এক্সপ্রেস রওনা হতে পারেনি। অবরোধ শেষ হওয়ার আগে কোনো ট্রেনই ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন জানান, বিজেএমসি চেয়ারম্যান ২৮ মার্চের মধ্যে মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে আমাদের আবারও আন্দোলনে নামতে হয়েছে।

সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের প্রভিডেন্ড ফান্ড-গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া প্রদান,  বরখাস্ত  শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাট কেনার বরাদ্দ বাড়ানো, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করার দাবি রয়েছে এই নয় দফার মধ্যে।

খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম, ইস্টার্ন জুট মিল এবং যশোরের কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিলে বর্তমানে ১৩ হাজার ২৭১ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত