সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ১২:৩৫

কিশোরী ধর্ষণ, ইমামকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানিয়েছেন, উপজেলার শালঘর দক্ষিণপাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমাম মাহফুজুর রহমান মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ১৫ বছরের মেয়েটির অবস্থা গুরুতর বলে সেখানকার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা দেবিদ্বার থানায় মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলায় বলা হয়, মেয়েটি তাদের পুরাতন বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই ওই ইমাম তাকে উত্ত্যক্ত করতেন ও ‘কুপ্রস্তাব’ দিতেন। শনিবার সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে তাকে কৌশলে ডেকে মসজিদের কাছে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি কক্ষের পাশে তাকে ধর্ষণ করে।

হাসপাতালে সঙ্গে থাকা মেয়েটির মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। এখন সে বাড়িতে থেকে গৃহস্থালির কাজ করে।

সকালে বাড়ি এসে গোপনাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি মেয়ের বাবাকে জানান। পরে তিনি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আজাদ বলেন, মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। ওই ইমাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

মাহফুজুর (২১) দেবিদ্বারের ভিরাল্লা গ্রামের সাইদুল ইসলাম ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত