সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ মে, ২০১৯ ১৬:২৭

ব্যবসায়ী হত্যা: সাবেক স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসির রায়

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ছয় বছর আগে মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রীসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরের সাবেক স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলী ওরফে নিপা, মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মো. শরীফ মাতবর এবং মো. ইব্রাহীম খলিল। তাদের মধ্যে শরীফ ও খলিল পলাতক।

বিচারক রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মনিরের স্ত্রী মোছাম্মৎ হাসিনা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দণ্ডিত স্বর্ণা আক্তার কাকলী ও আনোয়ার হোসেন মোল্লাকেও কাঁদতে দেখা যায়।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঞা বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৩ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মনির হোসেন জমি কেনা-বেচার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে বেরিয়ে তেজগাঁও যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন। পরদিন সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীর চরের মুন্সীহাটিতে নদীর তীরে তার খণ্ড বিখণ্ড লাশ পাওয়া যায়। মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে দিয়ে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন হাসিনা বেগম।

হাসিনা বেগম মামলা দায়ের করলে স্বর্ণা ও আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আনোয়ার তার জবানবন্দিতে বলেন, স্বর্ণা একসময় যৌনকর্মী ছিলেন। মনিরের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও তার ও শরীফের সঙ্গে স্বর্ণার সম্পর্ক ছিল। এসব কারণে মনির তালাক দিলে সেই ক্ষোভ থেকে স্বর্ণা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।    

পরিকল্পনা অনুযায়ী মনিরকে অপহরণের পর কামরাঙ্গীর চরের আশ্রাফাবাদ হুজুরপাড়া সড়কের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয়। হত্যার পর মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে মনিরের লাশ সাত টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় নদীর তীরে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত