সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ জুন, ২০১৯ ১৩:১৯

পুলিশ সদস্যের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী।

শনিবার (৮ জুন) ভোরে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সিআইডির কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য পলাতক রয়েছেন।

নিহতের নাম শেফালি অধিকারী। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত কনস্টেবল অসীম অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ায় বাসা ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার বাসার সামনেই শ্বশুর সদানন্দের বাড়ি। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে অসীম ও ফাল্গুনীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শনিবার ভোরেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাল্গুনী রাগ হয়ে পাশেই বাবার বাড়িতে চলে যান।

গুরুতর আহত আনন্দ অধিকারী জানান, দিদি আমাদের বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরই অসীম (জামাই বাবু) আমাদের বাড়িতে আসেন। দিদি গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসীম তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আমার মা শেফালি অধিকারী ও আমি তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আমাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.কলিমুল্লাহ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ভোরেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য পলাতক রয়েছে।

নিহত শেফালির স্বামী সদানন্দ অধিকারী জানান, ৯ বছর আগে খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মহেশ্বরপাশা গ্রামের মৃত দুলাল ভট্টাচর্য ছেলে অসীমের সঙ্গে আমার মেয়ে ফাল্গুনীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসীম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ও সন্দেহের বসে আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তাদের একটি মেয়ে হয়েছে। মেয়ের জন্মের পরও তার নির্যাতনের মাত্রা কমেনি।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি আমাদের কাছে একটু জটিল মনে হচ্ছে। তবে এটি পরিষ্কার যে ওই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। অসীমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত