সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুলাই, ২০১৯ ১২:৩৬

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে প্রাণ গেল দুজনের

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার ভোরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।

দুজনই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

মৃত দুজন হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে মো. সোহেল (১৮)।

হাসপাতালে পরিচালক মো. বাকির হোসেন সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আসলাম খান সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি হন এবং রাত ৩টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে সোহেল গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি হন এবং আজ ভোর চারটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।

বাকির হোসেন বলেন, দুজনই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হওয়ার পরেও চিকিৎসা না নিয়ে তাঁরা বাড়িতে চলে আসেন এবং অবস্থা গুরুতর হওয়ার পর তাদের হাসপাতালে আনা হয়।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ সকাল পর্যন্ত ২৪ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ১৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত এই হাসপাতালে মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

অপরদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগী মেঝে বা বারান্দায় শয্যা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। । বাড়তি রোগীর চাপে ওয়ার্ডগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও হিমশিম খাচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সরকার সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিলেও বাইরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দেড় থেকে দু হাজার টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছে।

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়েক লাখ লোক রাজধানী থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে আসবেন। এমন পরিস্থিতি ওই সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ব্যাপক বিস্তার ঘটনার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এ জন্য হাসপাতালগুলোতে আগাম প্রস্তুতির কথাও জানান তারা। একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে চলাচলকারী লঞ্চ এবং বাসগুলোতে নিয়মিত মশার ওষুধ স্প্রে করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।

শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক মো. বাকির হোসেন বলেন, কোরবানির সময় পরিস্থিতি যাতে অনুকূলে থাকে এ জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচুর স্যালাইন ও ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট চেয়ে আবেদন করা করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত