সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:৫২

যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু

যশোরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জাহিদা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জাহিদা বেগম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের আবদুল কাদেরের স্ত্রী। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এ নিয়ে যশোরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছয়জন রোগী মারা গেলেন। তবে মৃত এক রোগীর নাম লিপিবদ্ধ করেনি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, জাহিদা বেগম গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা গুরুতর ছিল। গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি মারা গেছেন।

যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২১ জুলাই থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত যশোরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ১ হাজার ৭৩৩ জন। মৃত রোগীর সংখ্যা ৫। বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ২২৪ জন রোগী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৫ জন। এ ছাড়া জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০৯ জন এবং বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ৩০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

চৌগাছা উপজেলার বাগারদাড়ি গ্রামের আবদুল ওয়াদুদকে মৃত ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। গত ২৪ আগস্ট আবদুল ওয়াদুদকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বাড়িতে আনার পর তিনি মারা যান। বাড়িতে মারা যাওয়ায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি।

যশোরের সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায় বলেন, যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কখনো বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। সংখ্যার দিক থেকে যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে চিকিৎসাব্যবস্থায় কোনো সংকট নেই।

দিলীপ কুমার রায় বলেন, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মশা নিধন কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত