সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:১৬

চিকিৎসা ও আইনি পরামর্শের জন্য ঢাকায় মিন্নি

চিকিৎসা নিতে এবং আইনি পরামর্শের জন্য ঢাকায় এসেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবী জেড আই খানের চেম্বারে বাবার সঙ্গে আসেন তিনি।

আইনজীবী জেড আই খান বলেন, মিন্নির বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তা মনগড়া। এতে মূল আসামিদের অব্যাহতির সুযোগ তৈরি হয়েছে। জজ মিয়া ও জাহালমের মতো আরেকটি কারবার হয়েছে এখানে।

শনিবার বিকেলে মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন আয়শা।

৩ সেপ্টেম্বর বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মিন্নি জামিনে মুক্তি পান। মিন্নিকে জামিন দিয়ে গত ২৯ আগস্ট রায় দিয়েছিলেন হাই কোর্ট।

রায়ে বলা হয়, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন। গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।

১ সেপ্টেম্বর তার জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ‘নো অর্ডার’ দেন। চেম্বার বিচারপতির ওই আদেশের ফলে আয়শাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকে।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিকে।

কিন্তু মিন্নির শ্বশুর মামলা দায়েরের ১৮ দিন পর ১৩ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত, এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করার পর মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। সংবাদ সম্মেলনের পরদিন মিন্নির গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ ছাড়াও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদের ছেলে সুনাম দেবনাথ বক্তব্য দেন। ১৬ জুলাই মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে পুলিশ ৩ জুলাই গ্রেপ্তার দেখায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত