সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১৫:৫৬

পুলিশের বাধায় আবরারের বাড়ি যেতে পারেননি বিএনপির নেতারা

পুলিশের বাধায় কুষ্টিয়ায় আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেনি ঢাকা থেকে আসা বিএনপির প্রতিনিধি দল।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজা থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের গাড়ি বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা টোল প্লাজায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারা ঢাকার অভিমুখে ফেরত যান।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমি ও সাধারণ সম্পাদক সোহবার উদ্দিন।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম-উল হাসান অপু অভিযোগ করে বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মেহেদী রুমী বলেন, আবরার ফাহাদের পরিবারে সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানাতে নেতারা ঢাকা থেকে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশের জন্য হলো না।

বিএনপি প্রতিনিধি দল ফিরে আসার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আল বেরুনি ও ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, ৯ অক্টোবর বুয়েটের ভিসি আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিএনপি নেতাদের রায়ডাঙ্গা গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

এর আগে ৯ অক্টোবর আবরারের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে ও তার কবর জিয়ারত করতে কুমারখালীতে আসেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। সে সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে পুলিশের সহায়তায় দ্রুত ঢাকায় ফিরতে হয় তাকে।

প্রসঙ্গত, রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত