দোদুল খান

১১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:৫৫

সিলেটের ১৯ আসন: ফিরে দেখা সংসদ নির্বাচন ১৯৯১

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই তফশিল ঘোষণা করেছে, ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ১৯৯১ সাল থেকে মোট ৫টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেমন ছিল সেসব নির্বাচন? সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনে কোন দল কোন আসন জিতেছিলো?

সেসকল তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ধারাবাহিক আয়োজন।

ফিরে দেখা: সংসদ নির্বাচন ১৯৯১
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির অধীনে নির্বাচন হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরবর্তীতে সামরিক শাসন এবং সামরিক বেড়াজালে আবদ্ধ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠার পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়েই ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচন গ্রহণের পথ সুগম হয়।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে জাতীয় সংসদের পঞ্চম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যাতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। সিলেট তখনো স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে স্বীকৃত হয়নি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তবে সিলেটের চারটি জেলাতে তখনো আসন সংখ্যা ১৯টি ছিল।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯১ সালের নির্বাচনে মোট ৭৫টি রাজনৈতিক দল বা জোটের ২৩৬৩ জন প্রার্থীসহ মোট ২৭৮৭জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে এটিই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন। তথ্য অনুযায়ী এ সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৬টি দল ১টি করে আসনে, ৩৩টি দল ২টি থেকে সর্বোচ্চ ১০টি আসনে এবং মাত্র ৫টি রাজনৈতিক দল এককভাবে দুই শতাধিক আসনে অংশগ্রহণ করে।

এ নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণের জন্য মোট ২৪১৫৪টি ভোটকেন্দ্রে ১,১২,২৭৭টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয় এবং মোট ৬,২১,৮১,৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৩,৪৪,৭৭,৮০৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এ নির্বাচনের ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে ১৪০টি আসনে (মোট ৩০.8১ শতাংশ ভোট) বিজয়ী হয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২৬৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮৮টি আসনে (মোট ৩০.০৮ শতাংশ ভোট) জয়লাভ করে।

সিলেট বিভাগের নির্বাচনী অবস্থা
১৯৯১ এর নির্বাচনে সিলেটের ১৯টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ৫ টি আসনে ১০,২১,১৪৭ জন ভোটার, সিলেট জেলার ৬টি আসনে ১৩,২৭,১৫২ জন ভোটার, মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনে ৮,১৪,৭৫৭ জন ভোটার এবং হবিগঞ্জ জেলার ৪টি আসনে ৮,৯৭,০৭১ জন ভোটার তালিকাভুক্ত ছিলেন। সিলেট বিভাগের ১৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৮২৫টি।

এ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭টি, বিএনপি ১টি, জাতীয় পার্টি ৮টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ১টি, গণতান্ত্রিক পার্টি ১টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট ১টি আসনে জয়লাভ করে।

সুনামগঞ্জ ১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা)
হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ ১ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী নজির হোসেন। ৪৪,১১৭ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-রব) এর প্রার্থী আলী আমজদ পান ৩০,১৮৭ ভোট। বিএনপির প্রার্থী মুক্তার হোসেন পান ২১,৩৯১ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলো না।

সুনামগঞ্জ ২ (দিরাই ও শাল্লা উপজেলা)
সুনামগঞ্জ ২ আসনে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ৫৮,৫৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দবিরুল ইসলাম চৌধুরী পান ৩৬,০৬৭ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী রানা হাসান চৌধুরী পান মাত্র ২৫৩২ ভোট। এ আসনেও আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী ছিলো না।

সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর উপজেলা ও তৎকালীন সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন)
সুনামগঞ্জ ৩ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সামাদ আজাদ। ৩৭,৭০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ফারুক রশীদ চৌধুরী পেয়েছিলেন ২৩,৭২৩ ভোট। এছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী পার্টির প্রার্থী সৈয়দ শামছুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১৩,৩৫৮ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী আনিসুল বারী চৌধুরী পেয়েছিলেন ১০,২৮৫ ভোট।

সুনামগঞ্জ ৪ (বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা এবং ২ আসনের অন্তর্ভুক্ত সদর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ছাড়া বাকি অংশ)
সুনামগঞ্জ ৪ আসনেও বিজয়ী হয়েছিলো আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩০,৬৪৯ টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির দেওয়ান শামসুল আবেদীন পান ২৫,৮৬৫ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন চৌধুরী পান ২৫,৫৫৫ ভোট।

সুনামগঞ্জ ৫ (ছাতক ও দোয়ারা উপজেলা)
এ আসনে জাতীয় পার্টির আব্দুল মজিদ ২২,২৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইয়াহইয়া পান ২০,৫১৮ ভোট। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে এ আসনেই সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন, যার মধ্যে ৫জনই ছিলেন স্বতন্ত্র।

এ আসনে গণতন্ত্রী পার্টির মহিবুর রহমান মানিক পান ১৭,৬৯৫ ভোট, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রার্থী মওলানা সিরাজ উদ্দিন পান ১৩,০২৭ ভোট, ইসলামী ঐক্য জোট এর মওলানা আব্দুস ছালাম পান ১২,৮৫১ ভোট, স্বতন্ত্র আবদুর রহিম ৯,৮৬৫ ভোট এবং বিএনপির জয়নুল করিম পান ৯,৪৬৭ ভোট। এ আসনেও আওয়ামী লীগের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলো না।

সিলেট ১ (৯টি ইউনিয়ন ছাড়া সদর উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জের রনিখাই ইউনিয়নের ৪টি মৌজা ছাড়া উপজেলা)
সিলেট ১ আসনে বিএনপির খন্দকার আবদুল মালিক ৩৭,০৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইফতেখার হোসেন শামীম পেয়েছিলেন ৩৫,৪৭০ ভোট। এ আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে ১৭,৫১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন জামায়াতের ডা. শফিকুর রহমান।

সিলেট ২ (বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলা)
এ আসনেও মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে জাতীয় পার্টির মকসুদ ইবনে আজিজ (লামা) ৩৯,০১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) এর মো. লুৎফর রহমান পেয়েছিলেন ২২,০৮৭ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলো না এবং বিএনপির প্রার্থী এমএ হক ৮,৪৯৩ ভোট পান।

সিলেট ৩ (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবং সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন)
সিলেট ৩ আসনে জাতীয় পার্টির মো. আবদুল মুকিত খান ৩৩,৪১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত জন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. আতিকুর রহমান পান ১৯,০৫৭ ভোট এবং বিএনপির শফি উদ্দিন আহমদ চৌধুরী পান ১৭,৪৭০ ভোট। এ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুল বাচিত পান ৮,২৯৬ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী পান ৭,০৯৫ ভোট।

সিলেট ৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জের রণিখাই ইউনিয়নের ৪টি মৌজা)
এ আসনে ২৩,০১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির নাজিম কামরান চৌধুরী ১৪,৫০৮ ভোট এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-রব) এর প্রার্থী মনির উদ্দিন মাস্টার পান ১৩,০০৮ ভোট।

সিলেট ৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা)
এ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মওলানা ওবায়দুল হক। তিনি ২৬,২৬৭ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার পেয়েছিলেন ১৯,৬৮২ ভোট। এছাড়াও এ আসনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা ফরীদ উদ্দিন চৌধুরী ১৫,২০৭ ভোট, বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হারিছ চৌধুরী ১৪,৫৯৬ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মতিন চৌধুরী ১৩,২৯৮ ভোট পান।

সিলেট ৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা)
সিলেট ৬ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির শরফ উদ্দিন খসরু। ৩৯,০৬৫ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নুরুল ইসলাম নাহিদ ৩৩,৩৩২ ভোট পেয়েছিলেন। এ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০,৩৩৭ ভোট, বিএনপির নজরুল ইসলাম ময়ুর ১০,৪০৭ ভোট পান এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ফজলুর রহমান পান ১৫,২৬৭ ভোট পেয়েছিলেন।

মৌলভীবাজার ১ (বড়লেখা উপজেলা)
মৌলভীবাজার ১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির এবাদুর রহমান চৌধুরী ২৭,৯০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন ২৭,৫৫৮ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী আছাদ উদ্দিন ১১,২৩০ ভোট পেয়েছিলেন।

মৌলভীবাজার ২ (কুলাউড়া উপজেলা)
এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও নবাব পরিবারের সদস্য নবাব আলী আব্বাছ খাঁন ৬১,১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী সুলতান মো. মনসুর আহমদ যিনি ৪৫,৫২৬ ভোট পেয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থী মো. আতাউর রহমান পেয়েছিলেন ৫,৩৭৬ ভোট।

মৌলভীবাজার ৩ (রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আজিজুর রহমান এ আসন থেকে ৫৫,৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টির গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছিলেন ৩৮,৫২৮ ভোট এবং বিএনপির সাইফুর রহমান পেয়েছিলেন ৩৫,৩৯৬ ভোট।

মৌলভীবাজার ৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা)
এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুস শহীদ ৭৫,৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্ব্ন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির আহাদ মিয়া যিনি ৬০,২১৫ ভোট পান। এ আসনেও বিএনপি থেকে সাইফুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন তবে তিনি ভোট পান ৬,৫৯৪টি।

হবিগঞ্জ ১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা)
জাতীয় পার্টির প্রার্থী খলিলুর রহমান ৪১,৯৫৭ ভোট পেয়ে এ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী। তিনি ৩৮,৯২৭ ভোট পেয়েছিলেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফারুক বখত চৌধুরী ১৩,৪১৬ ভোট পান।

হবিগঞ্জ ২ (আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা)
হবিগঞ্জ ২ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ উদ্দিন আহমদ। তিনি ৫০,৩৯৭ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির জাকারিয়া খান চৌধুরী ৪০,০২৫ ভোট পেয়েছিলেন।

হবিগঞ্জ ৩ (সদর ও লাখাই উপজেলা)
এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু লেইছ মো. মুবিন চৌধুরী ৩৮,২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর) এর চৌধুরী আবদুল হাই যিনি ৩১,০৪৫ ভোট পেয়েছিলেন। এ আসনে বিএনপির আতিক উল্লা পান ১১,৯২৭ ভোট আর আওয়ামী লীগ এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেনি।

হবিগঞ্জ ৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা)
আওয়ামী লীগের এনামুল হক ৬৭,৮৪৭ ভোট পেয়ে এ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সল পেয়েছিলেন ৫১,৬৯৪ ভোট। এ আসনে জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম পেয়েছিলেন ২৬,১৮৮ ভোট।

সংরক্ষিত দুটি মহিলা আসন
মহিলা আসন ২৪ (সুনামগঞ্জ-সিলেট) এ বিজয়ী হন বেগম ফাতেমা চৌধুরী পারু এবং মহিলা আসন ২৫ (মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ) এ বিজয়ী হন বেগম খালেদা রব্বানী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত