দোদুল খান

১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:১৮

ফিরে দেখা ১৯৯৬: সিলেটের ১৯ আসনের ১৩টিতে জিতেছিলো আ.লীগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই তফশিল ঘোষণা করেছে, ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ১৯৯১ সাল থেকে মোট ৫টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেমন ছিল সেসব নির্বাচন? সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনে কোন দল কোন আসন জিতেছিলো?

সেসকল তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ধারাবাহিক আয়োজন।

ফিরে দেখা: সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬
১৯৯৬ সালে ছয় মাসের ব্যবধানে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই তা ভেঙে গ্রহণ করা হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আবারো ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন এবং এ সরকারের ৫বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারা অনুযায়ী ৬ষ্ঠ সাধারণ নির্বাচণ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

কিন্তু সেসময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল এ নির্বাচন বর্জন করে এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭৮টি আসনে জয়লাভ করে পুনরায় সরকার গঠন করে। পরবর্তীতে অন্যান্য সকল দল আন্দোলন করলে ৩০ মার্চ সে সংসদ ভেঙে দেয়া হয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধিন তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে এবং সিলেট তখন স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে স্বীকৃত লাভ করে কিন্তু বিভাগের চারটি জেলাতে তখনো আসন সংখ্যা ১৯টি বহাল থাকে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মোট ৮১টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে এবং দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২৫৭৪জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।
তথ্য অনুযায়ী এ সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ৩০০টি আসনে প্রার্থী প্রদান করে। এছাড়াও জাতীয় পার্টি ২৯৩, জাকের পার্টি ২৪১, ইসলামী ঐক্যজোট ১৬৬ এবং গণফোরাম ১০৪টি আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অন্যান্য দলগুলো থেকে ৫৮৬ জন প্রার্থী বিভিন্ন আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। এ নির্বাচনে মোট ২৮৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

এ নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণের জন্য মোট ২৫৯৫২ টি ভোটকেন্দ্রে ১,১৪,৭৪৯টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয় এবং মোট ৫,৬৭,১৬,৯৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ৪,২৪,১৮,২৭৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন যা মোট ভোটারের ৭৪.৯৬ শতাংশ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনের ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে ১৪৬টি আসনে (মোট ৩৭.8৪ শতাংশ ভোট) বিজয়ী হয় এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১১৬টি আসনে (মোট ৩৩.৬০ শতাংশ ভোট) জয়লাভ করে।

সিলেট বিভাগের নির্বাচনী অবস্থা
১৯৯৬ এর নির্বাচনে সিলেটের ১৯টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ৫ টি আসনে ৬,৫০,৫৮১ জন ভোটার, সিলেট জেলার ৬টি আসনে ৭,৬৭,৫৫১ জন ভোটার, মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনে ৫,৬৭,৩৯৫ জন ভোটার এবং হবিগঞ্জ জেলার ৪টি আসনে ৫,৮৫,৫১৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসন আওয়ামী লীগ ১৩টি, বিএনপি ৩টি এবং জাতীয় পার্টি ৩টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া সংরক্ষিত দুটি মহিলা আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন।

সুনামগঞ্জ ১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা)
এ আসনে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৬৭,৩১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সৈয়দ রফিকুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নজির হোসেন (যিনি আগের নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন) ৬৭,৩১২ ভোট পান।

সুনামগঞ্জ ২ (দিরাই ও শাল্লা উপজেলা)
সুনামগঞ্জ ২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন চৌধুরী ৫৯,০০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (যিনি আগের নির্বাচনে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন) ৫৮,৪৯৬ ভোট পান। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জহির আহমেদ ভোট পান ১,৮৬৮টি।

সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর উপজেলা ও তৎকালীন সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন)
সুনামগঞ্জ ৩ আসনে আবারো বিজয়ী হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সামাদ আজাদ। ৪২,৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ফারুক রশীদ চৌধুরী পেয়েছিলেন ৩২,৩২৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন পেয়েছিলেন ১৭,৪৫১ ভোট।

সুনামগঞ্জ ৪ (বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা এবং ২ আসনের অন্তর্ভুক্ত সদর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ছাড়া বাকি অংশ)
সুনামগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. ফজলুল হক ৩৬,১৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুজ জহির পান ৩৪,৩৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন চৌধুরী পান ৩১,২০৭ ভোট।

সুনামগঞ্জ ৫ (ছাতক ও দোয়ারা উপজেলা)
১৯৯১ এর নির্বাচনে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী হিসেবে ৪২,৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মহিবুর রহমান মানিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া পান ৪১,১২০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমদ পান ৩৩,৮৭৫ ভোট।

সিলেট-১ (৯টি ইউনিয়ন ছাড়া সদর উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আংশিক)
সিলেট ১ আসনে এ নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ৫৯,৭১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এম সাইফুর রহমান পান ৫৮,৯৯০ ভোট।

সিলেট ২ (বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের শাহ আজিজুর রহমান ৪২,২৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মাকসুদ ইবনে আজিজ (লামা) ৩৯,০৪৪ ভোট এবং বিএনপির এম ইলিয়াস আলী ৩৮,৪৭৩ ভোট পান।

সিলেট ৩ (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবং সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন)
জাতীয় পার্টির আব্দুল মুকিত খান ২৬,৬৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উদ সামাদ চৌধুরী পান ২৬,১৬৮ ভোট। বিএনপির শাফি উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পান ২৫,৯৫৪ ভোট।

সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জের আংশিক)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এম সাইফুর রহমান ২৩,৯৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ পান ২২,৭২৫ ভোট।

সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফিজ মজুমদার ২৯,৪৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন চৌধুরী পান ২৮,১২০ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এমএ মতিন চৌধুরী পান ৪৮৬০ ভোট।

সিলেট ৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা)
বিগম নির্বাচনে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পরাজিত হলেও এ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ৫৩,৯৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টির মো. মুজাম্মিল আলী পান ৩৪,৬৯১ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন ওরফে লেচু মিয়া পান ৩১,৯৭০ ভোট।

মৌলভীবাজার ১ (বড়লেখা উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন ৩৩,১৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এবাদুর রহমান চৌধুরী পান ২০,০৪৭ ভোট।

মৌলভীবাজার ২ (কুলাউড়া উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমদ ৫৫,৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নবাব আলী আব্বাছ খাঁন ৩৯,৯৯২ ভোট পান। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাকসুদ শাহীন পান ৩১,৩০৪ ভোট।

মৌলভীবাজার ৩ (রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা)
মৌলভীবাজার ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী এম সাইফুর রহমান ৮৪,২৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুর রহমান ৬৩,১৭৭ ভোট পান।

মৌলভীবাজার ৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুশ শহীদ ৯১,৮১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া ৫৯,৮২৫ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীতায় থাকেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. শফিকুর রহমান পান ২৪,৪৮৮ ভোট।

হবিগঞ্জ ১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী ৫২,৯৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খলিলুর রহমান চৌধুরী পান ৪৪,১১৩ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ সুজাত মিয়া ২৭,২৪৮ ভোট পান।

হবিগঞ্জ ২ (আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা)
এ আসনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ উদ্দিন আহমদ। তিনি ৫১,৩৬৯ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির জাকারিয়া খান চৌধুরী পান ৩৪,৫৩০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিরাজুল হোসেন খান ৩২,৩৬১ ভোট পেয়েছিলেন।

হবিগঞ্জ ৩ (সদর ও লাখাই উপজেলা)
এ আসনে জাতীয় পার্টির আবু লাইস মো. মুবিন চৌধুরী ৫৫,৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. শহীদ উদ্দীন চৌধুরী পান ৪৫,৪৯ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আতিক উল্লাহ পান ৫৫০৫ ভোট।

হবিগঞ্জ ৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা)
এ আসনেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক মোহাম্মদ মোস্তফা শহীদ ৭০,২৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সল পেয়েছিলেন ৫৯,৬৬৬ ভোট। এ আসনে জাতীয় পার্টির মেজবাহ উল বর চৌধুরী পেয়েছিলেন ৪৯,৪০৯ ভোট।

সংরক্ষিত দুটি মহিলা আসন
সংরক্ষিত দুটি মহিলা আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন। সংরক্ষিত আসন ২৪ (সুনামগঞ্জ-সিলেট) এ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক এবং সংরক্ষিত আসন ২৫ (মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ)এ হোসনা আরা ওয়াহিদ নির্বাচিত হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত