সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ১৩:১২

সবাইকে সমান সুযোগ সুবিধা দেয়ার আহ্বান সিইসির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল ও প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। একই সঙ্গে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। এই কর্মশালায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা অংশ নেন।

তিনি বলেন, “যে যে অবস্থানে থাকুক না কেন, অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সকল প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। আইনগতভাবে যেন কেউ কোনো কিছু থেকে বঞ্চিত না হয়, কেউ যেন অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা না পায়- সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।”

প্রার্থীদের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিইসি বলেন, “আইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা কী কী সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তা তাদের বোঝাতে হবে। তাদের সহযোগিতা নিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। অত্যন্ত নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।”

পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোট করতে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সামনে ধারাবাহিক এই ব্রিফিংয়ে আসছেন সিইসি।

তবে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে আসা জাতীয় এক্যফ্রন্ট ও বিএনপি বলে আসছে, ভোটের মাঠে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) এখনও তৈরি হয়নি।

তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনরা একদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালাচ্ছে, অন্যদিকে সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে কেউ যেন আচরণবিধি ভঙ্গ না করে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রে আপনারা অবস্থান করবেন, তাই আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের।”

তিনি বলেন, “পরিপত্র, আদেশ, চিঠি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ওপর ভিত্তি করেই যেন নির্বাচন পরিচালিত হয়, সেটি আপনাদের আয়ত্ত করতে হবে।”

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠানে জানান, পুনঃতফসিলে ভোটের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারের পুরনো ব্যানার-পোস্টার সরানোর সময়ও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

“প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার ঘোষণা দিয়েছি, যেন আচরণবিধি পরিপন্থি কোনো কাজ না হয়। ব্যানার-পোস্টারগুলো তুলে দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি, আজকে শেষ দিন ছিল। আমরা আরও তিনদিন সময় বাড়াব। যারা নির্বাচন করবে তাদের ব্যানার পোস্টার লাগানোর জন্য তো জায়গা থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “কোনো উপজেলা থেকে কোনো কর্মকর্তাকে সরানো যাবে না, কেননা তারা পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হবেন।”

অন্যদের মধ্যে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত