নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:৫৪

ইলিয়াসপত্নী লুনা ও পুত্র আবরারের মনোনয়নপত্র জমা

সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফরম দুটি জমা দেন আবরার ইলিয়াস। মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের সঙ্গে আগত নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে কার্যালয়ে যাননি তাহসিনা রুশদীর লুনা। তার সঙ্গে আগত সিলেট বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তিনি ওই সময় অবস্থান করছিলেন কার্যালয়ের নীচে।

আগামী ১৮ থেকে ২০ নভেম্বর ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এম. ইলিয়াস আলী (জন্ম ১৯৬১) হলেন জাতীয় সংসদের (২০০১-২০০৬) সাবেক সদস্য। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০১০ সালে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় মধ্যরাতে তাকে এবং তার গাড়ি চালককে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। বিএনপির অভিযোগ, বিরোধীদের দমন নিপীড়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অপহরণ করে, কিন্তু সরকার সে দাবি বারবার অস্বীকার করেছে।

ইলিয়াস আলী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে বিশ্বনাথ উপজেলার রামসুন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগ থেকে বি.কম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.কম (মাস্টার্স) ব্যাংকিংয়ে স্নাতকে নিযুক্ত ছিলেন, কিন্তু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন পরিচালনা করায় ১৯৮৭ সালে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

১৯৮০ সালে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন, যা এক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের মধ্যে বসবাস করেছেন। কয়েক বছরের মধ্যে, তিনি হলের নেতা হন এবং ১৯৮৩ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হন। ১৯৮৬ সালে, জেসিডির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হিসাবে নির্বাচিত হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত