সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১৪:৩৫

আসনপ্রতি আ.লীগের ১৩, বিএনপির ১৫, জাপার ৮ প্রার্থী

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ; তৃতীয় স্থানে যথারীতি জাতীয় পার্টি।

বিএনপির মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, তবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রার্থিদের আরও ২৫ হাজার টাকা জামানত দেওয়ার বিধান তাদের। এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা, এবং জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল ২০ হাজার টাকা।

এবার ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ২১টি। সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে বিএনপি। দলটির পাঁচ হাজার টাকা দামের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৫৮০টি। আসনপ্রতি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫ জনের বেশি।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা। ফরম কিনেছেন চার হাজার ২৩ জন। প্রতি আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৩ জনের বেশি।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাপা) ২০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪১৮টি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ৬৩ আসনে ভোট করে ৬১টিতে জামানত হারানো বিকল্পধারার শনিবার পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১২৫টি। দলটি ২০০৪ সালে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে জিতেছিল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৪৬৫টি। দলটি ১৩২টি আসনে প্রার্থী বাছাই করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৪৫টি আসনে ভোট করে একটি বাদে সবক'টিতে দলটির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জেএসডি সংসদে শেষবার আসন পেয়েছিল ২২ বছর আগে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে।

গণফোরামের বিনামূল্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করেছে। এবার মনোনয়ন চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। গণফোরাম কখনই কোনো আসনে জিততে পারেনি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি ২০০৮ সালে একটি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার তাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৫৫টি।

ক্ষমতাসীন জোটের শরিক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ২৬৩।

১৪ দলের শরিক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন শতাধিক। সেখান থেকে ৩২ জনকে বাছাই করেছে দলটি।

চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তারাই দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী তালিকায় আগ্রহীর সংখ্যা ৩৫। বিএনপি জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২০, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ২৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।

জাপার জোটের শরিক খেলাফত মজলিস ৩০ আসনে ও ইসলামী ফ্রন্ট ৭৩ আসনে প্রার্থী বাছাই করেছে।

নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামির নেতারা স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। দলটির নেতারা ৬১টি আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

বামপন্থি দলগুলোর জোটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক সিপিবি বিনামূল্যে ফরম বিতরণ করেছে, নিয়েছেন ৬৫ জন।

গত ২৮ বছরে চারটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়ায়নি। ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট করেন ২ হাজার ৭৮৭ জন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদে প্রার্থী ছিলেন ২ হাজার ৫৭২ জন। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদে ভোটে দাঁড়ান ১ হাজার ৯৩৯ জন।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা চালুর পর ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৬৭ জনে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত