সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৬

সেনবাগে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ৬

নোয়াখালীর সেনবাগ দক্ষিণ বাজারে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলায় সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুরও চালায় তারা।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত বাকি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব উদ্দিন ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ।

গুরুতর আহত আবুল কালাম আজাদ ও শিহাব উদ্দিনকে নোয়াখালী শহরের প্রাইম হসপিটালে নেওয়া হয়। বাকি ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার সময়সূচি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে আটটার পর দলীয় কার্যালয়ে যান। সকাল পৌনে নয়টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল লোক অতর্কিতে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। হামলাকারীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বিএনপির নেতাদের পিটিয়ে আহত করে। তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের ভেতর থেকে আসবাবপত্র ও নির্বাচনী পোস্টার রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, তিনি অল্পের জন্য হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি কয়েকশ গজ দূরে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাকে নিষেধ করায় তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। গেলে তিনিও হামলার শিকার হতেন।

হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ করেন ফারুক।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শওকত হোসেন বলেন, তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।

নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম বলেন, হামলার বিষয়ে তিনি পরস্পরবিরোধী কথা শুনেছেন। আসল ঘটনা কী হয়েছে, তা জানতে পারেননি।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তেমন কিছু ঘটেনি। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সামান্য পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে অফিসের সামনে পোস্টারে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত