সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৪৯

যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে বিচারের প্রতিশ্রুতি একটা তামাশা

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখা হবে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ। এই ইশতেহার জনগণের সঙ্গে তামাশা করার সামিল বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্যই তারা এমন ইশতেহার দিয়েছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে এটা কোনো অবস্থাতেই মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কথা নয়। তারা সার্বিকভাবে ইশতেহারে যা বলেছে তা কোনোভাবেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তারা এ ধরনের ইশতেহার দিয়েছে।’

আব্দুর রহমান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয় প্রশ্রয়ে তারা নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখবে, এটা কোনদিনই দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে না।

স্বাধীনতার স্বপক্ষের ভোট টানার কৌশল হিসেবে ঐক্যফ্রন্ট এমন ঘোষণা দিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের বিষয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অবশ্যই সতর্ক আছে। এটা তাদের ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছুই না।

ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সমালোচনা করে রহমান বলেন, যে তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে মানিলন্ডারিং মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত, কে না জানে ক্ষমতায় থাকতে তারা হাওয়া ভবন তৈরি করেছে। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডিত। তাদের ইশতেহারে যদি বলা হয় দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা, তা হাস্যকর ছাড়া আর কি হতে পারে। কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার অপকৌশল তাদের এই ইশতেহার।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত